পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છે g বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থাবলী

  • মৃন্ময়ী কিয়ৎক্ষণ ভাবিয়া বলিলেন, “বলিতে পারি .না ! বোধ করি সমুদ্রতীরে সেই বনে বনে বেড়াইতে

পারিলে আমার মুখ জন্মে।” খামামুনারী কিছু বিস্থিত হইলেন । র্তাহাদিগের যত্নে যে মৃন্ময়ী উপকৃত হয়েন নাই, ইহাতে কিঞ্চিৎ ক্ষুব্ধ হইলেন ; কিছু রুষ্ট হইলেন। কহিলেন, “এখন ফিরিয়! যাইবার উপায় ?” মু। উপায় নাই ; শু । তবে করিবে কি ? মৃ। অধিকারী কহিতেন, “যথ নিযুক্তোহন্মি তথা কুরোমি ” শুlমামুন্দরী মুখে কাপড় দিয়া হাসিয়া বলিলেন, "যে আজ্ঞা, ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়! কি হইল ?” মৃন্ময়ী নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “যাহা বিধাত করাইবেন, তাছাই করিব । যাহা কপালে আছে, তাহাই ঘটবে।" শু । কেন, কপালে আর কি - আছে ? কপালে মুখ আছে। তুমি দীর্ঘনিশ্বাস ফেল কেন ? মৃন্ময়ী কহিলেন, “শুন । যে দিন স্বামীর সহিত যাত্রা করি, যাত্রাকালে আমি ভবানীর পায়ে ত্রিপত্র দিতে গেলাম । আমি মা’র পাদপদ্মে ত্রিপত্র না দিয়া কোন কৰ্ম্ম করিতাম না। যদি কৰ্ম্মে শুভ হইবার হইত, তবে মা ত্রিপত্র ধারণ করিতেন ; যদি অমঙ্গল ঘটিবার সম্ভাবনা থাকিত, তবে ত্রিপত্র পড়িয়া যাইত। অপরিচিত ব্যক্তির সহিত অজ্ঞাত দেশে আসিতে শঙ্কা হইতে লাগিল । ভাল মন্দ জানিতে মা'র কাছে গেলাম । ত্রিপত্র মা ধারণ করিলেন না ; অতএব কপালে কি আছে, জানি ন। " মৃন্ময়ী নীরব হইলেন। স্যামাসুন্দরী শিহরিয়া উঠিলেন।