পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিত্যখ্যান—নরোত্তম-বিলাস—১৬১৪-১৬২৫ খৃঃ। ১২৩৭ কি মধুর মুখে মন্দ হাসিয়া হাসিয়া । চাদের গরৰ নাশে বরিষে অমিয়া ॥ কিবা সে আজানু-বাহু বক্ষ-পরিসর। পরিধেয় ত্রিকচ্ছ বসন মনোহর ॥ নানা রত্ন-ভূষণে ভূষিত প্রতি অঙ্গ। কিশোর বয়স তাহে রসের তরঙ্গ ॥ খেতুরীর রাজ-পুত্র নরোত্তম তাহার পিতার অনুপস্থিতিতে নবযৌবনে গৃহত্যাগী হইয়া সন্ন্যাস-গ্রহণ করেন – নরোত্তম বৃন্দাবনের পথে । এথা নরোত্তমের জনক অকস্মাৎ । রাজ-কার্য্যে গৌড়ে গেলা বহু লোক-সাথ । নরোত্তম জানি শুভক্ষণ সেই ক্ষণে । প্রকারে বিদায় হৈলা জননীর স্থানে ॥ পরম মুবুদ্ধি সৰ্ব্ব মতে বিচারিলা । রক্ষকে বঞ্চিয়া সঙ্গোপনে যাত্রা কৈলা ॥ নবদ্বীপ আদি স্থান না করি ভ্রমণ । বনপৰে। লোক-ভয়ে বনপথে চলে বৃন্দাবন ॥ ঐছে বেশ-ধারণ করিলা মহাশয়। না চিহ্নয়ে যদি কার সনে দেখা হয় ॥ পঞ্চদশ দিবসের পথ ছাড়াইয়া । ঘুচিল উদ্বেগ কিছু চলে স্থির হৈয়া । এথা মাতা পিতা যৈছে নরোত্তম বিনে । এক মুখে তাহ বা বর্ণিব কোন জনে ॥ গৌড়ে এই সৰ্ব্বত্ৰ কহয়ে পরস্পরে। রাজপুত্র নরোত্তম গেলা ব্ৰজ-পুরে ॥ রামকেলি গ্রামে প্রভু যারে আকৰ্ষিল। (১) সেই এই নরোত্তম নিশ্চয় জানিল ॥ (১) কথিত আছে, চৈতন্যপ্ৰভু রামকেলী গ্রামের পথে যাইতে যাইতে তথায় কোন বিশেষ ভক্তের আবির্ভাব হইবে এরূপ ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিলেন।