পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট-মায়া-তিমির-চন্দ্রিকা—১৮শ শতাব্দী। >b" > ঘৃণা লজ্জা ভয় শঙ্কা জুগুঙ্গা পঞ্চম। কুল জাতি শীল অষ্ট-পাশের নিয়ম। অদৃষ্ট অচ্ছেদ্য পাস অস্ত্রে নাহি কাটে। জীব তাহে বদ্ধ হৈলে ক্রমে ক্রমে আঁটে ॥ ভুবন-জননী কালী ত্রিলোকের সার। অখিল পূরিত যার মহিমা অপার । রূপরেখ কিছু নাই বলিলাম এই। কাৰ্য্য ভেদে ধ্যান ভেদ নাথ বলে তেঁই ৷ মন বলে শুনিয়াছি কালী-পুরাণেতে। কালিকার যা মূল মন্ত্র অথৰ্ব্ব শ্রুতিতে ॥ পূর্ণ ব্ৰহ্মরূপ কালী ত্রিলোক-তারিণী। ভকতবৎসল অতি জগতজননী ॥ মহিষ অস্ত্রর শম্ভু ভয়ে দেবগণ । অতি দীন ভাবে ভূমি করিয়া ভ্রমণ ॥ পরাভক্তি আশ্রাইয়া পূজায়ে তুষিলা । ভক্তিযুক্ত স্তুতি বহু প্রকার করিলা ॥ ভকতবৎসল কালী দেব-দেহ হৈতে। তেজরূপে আবিভূত হইল সাক্ষাতে ॥ দশভূজা দীর্ঘ-কেশী সুচারু দশন । প্রতপ্ত-কাঞ্চন-বিভা প্রসন্ন বদন ॥ মহিষ অস্থর শস্তৃদৈত্য মহাবলে। তীক্ষু খঙ্গে ছেদন দেবী আপনে করিলে ॥ ইন্দ্র রাজ্য পাইলেক অমর ভুবন। পদ বন্দি নিৰ্ভয়ে রহিলা দেবগণ ॥ অতএব আমি বলি তাহারে ভজিলে। অনুগ্রহ-দৃষ্টিপাত তাহার হইলে । ভবজাল অষ্ট-পাশ খসিবে বন্ধন। অনায়াসে লাভ হবে অমূল্য রতন ॥ ধীর বলে জীব তরে শুন মহারাজ । এত দিনে সিদ্ধ বুঝি হইবেক কায ॥ শ্ৰীনাথের মুখে যাহা করেছি শ্রবণ। সবিশেষ আছে নানা তন্ত্রেতে লিখন ॥