পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* २४ 8 ) • এইরূপে সমাজ ক্রমশঃ যতই উন্নতি প্রাপ্ত হয় ততই তদন্তৰ্গত মনুষ্য সকল নৈসর্গিক নিরম গুলি বিশেষরূপে বুঝিতে থাকে, আর পূৰ্ব্বে যাহা অকস্মাৎ সংঘটিত বিবেচনা করিত তখন তাহার পরিবর্তে কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধের জ্ঞান, স্থান গ্রহণ করে । অর্থাৎ তখন তাহার বুঝিতে থাকে যে কোন কৰ্ম্ম অকস্মাৎ উৎপন্ন হয় না একটি কার্য্যের উৎপত্তির জন্ত পুৰ্ব্বে আর একট কাৰ্য্যের অবস্থিতি আবশ্যক । “সম্ভবতঃ পূৰ্ব্বোক্ত দুই মত হইতে ক্রমশঃ স্বাধীনেচ্ছা ও অদৃষ্টবাদীদিগের মত উদিত হইয়া থাকিবে। সমাজের উন্নতির সহিত যে এরূপ পরিবর্ভন সঙ্ঘটিত হইবে ইহাও কিছু আশ্চৰ্য্য নয়। প্রত্যেক দেশে ধনরাশি যখন একপ্রকার বৰ্দ্ধিত সীমা প্রাপ্ত হয়। তখন সেখানে এক এক ব্যক্তির পরিশ্রম দ্বারা উৎপন্ন ত্রব্য তাহদের স্ব স্ব অভাব পুরণ করিয়াও উদ্ভূক্ত হইতে থাকে। এই নিমিত্ত সেই দেশে অনেকের পরিশ্রম না করিলেও চলে। ঐ সকল পরিশ্রমশূন্ত মমুষ্যেরা পরিশ্রমকারী মনুষ্যগণ হইতে স্বতন্ত্র শ্রেণীতে আবদ্ধ হইয়া প্রায় আমোদ আহলাদে জীবন যাপন করে, তবে তাহাঁদের মধ্যে কেহ কেহ বা ( অতি अन्नहे) विज्ञाथाख्नन ७ ठाश्ाग्न ७यघ्राप्द्रब्र জন্যও যত্ন করির থাকেন।” ' “ ইহাও সচরাচর দেখা যায় যে এই শেষোক্ত মনুষ্যগণের মধ্যে আবার কোন তর্ক সংগ্ৰছ । c 48 কোন ব্যক্তি বাহঘটনাবলী একবারে পরিত্যাগ করিয়া কেবল নিজের মনের বৃত্তিগুলি অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করেন। এই সকল মহাত্মারা যখন মনস্তত্ব বিষয়ে বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন, তখন ইহাদিগের দ্বারা এক একটি নূতন দর্শন বা ধৰ্ম্ম পরিষ্কৃত হর, যাহা বহুতর মমুষ্যের চিত্ত আকর্ষণ করিরা নিজের অনুগামী করে । এ স্থলে ইহাও বলা কৰ্ত্তব্য যে ঐ সকল আদিমাচাৰ্য্যগণ সাময়িক সাধারণ মত সমুদর গ্রহণ করিয়াই আপনীদের মত স্থির করেন, কায়ণ প্রচলিত মত সকলের আকর্ষণীশক্তি একবারে পরিত্যাগ করা কঠিন। তবে নুতন দর্শন বা নূতন ধৰ্ম্মের উৎপত্তিয় বিষয় যে শুনা যায়, বস্তুতঃ তাহা সম্পূর্ণ নূতন নহে কিন্তু তৎকালপ্রচলিত মতের নূতন পদ্ধতিতে সংগ্ৰহ মাত্র । এই জন্য বলা যাইতেছে যে পূৰ্ব্বে বাহ্য জগতে যাহা অকস্মাৎ বলিয়া জ্ঞাত ছিল তাহাই ক্রমে অন্তর্জগতের স্বাধীনেচ্ছা রূপে পরিণত হইয়াছে এবং পুৰ্ব্বকালের কার্য্যকারণ সম্বন্ধ ক্রমশঃ অদৃষ্ট নাম ধারণ করিয়াছে। বিশেষ এই যে প্রথমটার উন্নতির কারণ তার্কিকগণ, দ্বিতীয়টির পোষণ কর্তা ধৰ্ম্মপ্রচারকগণ । একদিকে তার্কিকগণ মনস্তত্ব মধ্যয়নের সহিত পূৰ্ব্বোক্ত নিরপেক্ষ অকস্মাৎ বিষয়ক মতটী তন্ন তন্ন সমালোচন করতঃ তাহার সামগ্ৰী দ্বারাই স্বাধীনেচ্ছাবিষয়ক মতের স্বষ্টি করিয়াছেন। অন্যদিকে ধৰ্ম্ম প্রচারকগণ কাৰ্য্য