পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ-সংখ্যা । ] মেঘদূত ৮ ›ጫ¢ নাই, সংসারও অনির্দিষ্ট রহস্যপূর্ণ ছিল। এখন নিজের সম্বন্ধে সকল সম্ভীরনার সীমায় আসিয়া পৌছিয়াছি ; পৃথিবীও সেই সঙ্গে সঙ্কুচিত হইয়া গেছে। এখন ইহা আমারি আপিসঘর, বৈঠকখান, দরদালানের সামিল হুইয়া পড়িয়াছে । সেই ভাবেই পৃথিবী এত বেশি অভ্যস্ত পরিচিত হইয়া গেছে যে, ভূলিয়া গেছি এমন কত আপিসঘর, বৈঠকথানা, দরদালান, ছায়ার মত এই পুথিবীর উপর দিয়া গেছে, ইহাতে চিহ্র ও রাথিতে পারে নাই। কত প্রৌঢ় নিজের মাম্ল-মকদমার মন্ত্ৰগৃহকেই পুথিবীর ধ্রুব কেন্দ্র স্থল গণ্য করিয়া তাকিয়ার উপর ঠেসান দিয়৷ বসিয়াছিল, তাহাদের নাম তাহদের ভয়ের সঙ্গে সঙ্গে বা তাসে উড়িয়া গেছে, সে এখন আর খুটিয়া পাইবার জো নাই---তবু পুথিবী সমান বেগে সুর্য্যকে প্রদক্ষিণ করিয়া চলিতেছে । কিন্তু আষাঢ়ের মেঘ প্রতিবৎসর যথনি আসে, তখনই তাহার নূতনত্বে রসাত্রান্ত ও পুরাতনত্বে পুঞ্জীভূত হইয় আসে। তাঙ্গকে আমরা ভুল করি না, কারণ, সে আমাদের ব্যবহারের বাহিরে থাকে । আমার সঙ্কোচের সঙ্গে সে সস্কুচিত হয় না । যখন বন্ধুর দ্বারা বঞ্চিত, শত্রুর স্বায় পীড়িত, দুরদৃষ্ট্রেয় দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হইয়াছি, তখন যে কেবল হৃদয়ের মধ্যে বেদনার চিন্তু লাগিয়াছে, ললাটের ॐब्र वणि अहिउ इहेब्रादइ, उाह नरश्, cय *थिवैौ त्रांमांब्र काब्रिक्टिक श्ब्रि छहेब्र আছে, আমার আঘাতের দাগ *रों★. ॐब भफिब्रांदह । ऊांशग्न जजकूण *नबि cबननांग्र विक्रठ, बाथांब्र झकिखांब्र চিহিত । আমার উপর যখন অস্ত্র আসিয়া পড়িয়াছে, তখন আমার চারিদিকের পৃথিবী সরিয়া দাড়ায় নাই, শর আমাকে ভেদ করিয়া তাহাকে বিদ্ধ করিয়াছে । এমনি করিয়া বারংবার আমার মুখদুঃখের ছাপ লাগিয়া পৃথিবীটা আমারই বলিয়া চিহিত হইয়া গেছে । মেঘে আমার কোন চিত্ত্ব নাই। সে পথিক আসে যায়, স্থির থাকে না । অামার জর। তাহাকে স্পর্শ করিবার অবকাশ পায় ন; । আমার আশী-নৈরাশ্য হইতে সে বহুদূরে । এই জন্য, কালিদাস উজ্জয়িনীর প্রাসাদশিখর হইতে যে আষাঢ়ের মেঘ দেখিয়াছিলেন, আমরাও সেই মেঘ দেখিতেছি । ইতিমধ্যে পরিবর্তমান মানুষের ইতিহাস তাহাকে স্পর্শ করে নাই। কিন্তু সে অবন্তী, সে বিদিশা কোথায় ? মেঘদূতের মেঘ প্রতিবৎসর চিরনূতন চিরপুরাতন হইয়া দেখা দেয়, বিক্রমাদিত্যের যে উজ্জয়িনী মেঘেয় চেয়ে দৃঢ় ছিল, বিনষ্ট স্বপ্নের মত তাহাকে আর ইচ্ছা করিলে গড়িবার জো নাই । মেঘ দেখিলে “মুখিনোইপান্যথাবৃত্তি চেতঃ” সুধিলোকের ও আনমনা ভাব হয়, . এই জন্য । মেঘ মঙ্গুষ্যলোকের কোন ধার ধারে না বলিয়া, মানুষকে অভ্যস্ত গওঁীর বাহিরে লইয়া যায় । মেঘের সঙ্গে আমাদের প্রতিদিনের চিন্তা, চেষ্টা, কাজকর্মের কোন সম্বন্ধ নাই বলিয়া, সে আমাদেয় মনকে ছুটি দেয়। মন তখন বাধন মানিতে চাহে না, প্রভুশাপে নিৰ্ব্বাসিত যক্ষের বিরহ তখন উদাম হইয়া উঠে। প্রভূভূত্যের সম্বন্ধ,