পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रै९० কলেবরে না জাগিয়া থাকিতে পারে না । সে অরণ্যের পুষ্পপল্লবেরই মত প্রকৃতির নিগুঢ়স্পর্শাধীন। সেই জন্য যৌবনাবেশবিধুর কালিদাস ছয় ঋতুর ছর তারে নরনারীর প্রেম কি কি সুরে বাজিতে থাকে, তাহাই বর্ণনা করিয়াছেন—তিনি বুঝিয়াছেন, জগতে ঋতু আবৰ্ত্তনের সর্বপ্রধান কাজ প্রেম-জাগান,-ফুল-ফুটানো প্রভৃতি অন্ত সমস্তই তাহার আনুষঙ্গিক । তাই যে কেকারব বৰ্ষাঋতুর নিখাদ মুর, তাহার আঘাত বিরহবেদনার ঠিক উপরে গিয়াই পড়ে । বিদ্যাপতি লিথিয়াছেন— মত্ত দাদুরী ডাকে ডাহুকী ফাটি যাওত ছাতিয়া । এই ব্যাঙের ডাক নববর্ষার মত্ত ভাবের সঙ্গে নছে, ঘনবর্ষার নিবিড় ভাবের সঙ্গে বড় চমৎকার খাপ খায় । মেঘের মধ্যে আজ কোন বর্ণবৈচিত্র্য নাই, স্তরবিন্যাস নাই,—শচীর কোন প্রাচীন কিঙ্করী আকাশের প্রাঙ্গণ মেঘ দিয়া সমান করিয়া লেপিয়; দিয়াছে, সমস্তই কৃষ্ণধূসর বর্ণ। নানাশস্যবিচিত্র পৃথিবীর উপরে উজ্জ্বল আলোকের তুলিক। বঙ্গদর্শন। [ ভাদ্র । পড়ে নাই বলিয়া বৈচিত্রা ফুটিয়া ওঠে নাই। ধানের কোমল মন্থণ সবুজ, পাটের গাঢ় বর্ণ এবং ইক্ষুর হরিদ্রাভ একটি বিশ্বব্যাপি-কালিমায় মিশিয়া আছে । বাতাস নাই। আসল্প-বৃষ্টির আশঙ্কায় পঙ্কিল श्रृंहश ८लोक दोश्च्नि झ्म्न मोहे । भोप्% दक्ष्नि পূৰ্ব্বে ক্ষেতের কাজ সমস্ত শেষ হইয়া গেছে। পুকুরে পাড়ির সমান জল । এইরূপ জ্যোতিহীন, গতিহীন, কৰ্ম্মহীন, বৈচিত্র্যহীন, কালিমালিপ্ত একাকারের দিনে ব্যাঙের ডাক ঠিক সুরটি লাগাইয়া থাকে। তাহার স্বর ঐ বর্ণহীন মেঘের মত, এই দ্বীপ্তিশূন্ত আলোকের মত, নিস্তব্ধ নিবিড় বর্ষাকে ব্যাপ্ত করিয়া দিতেছে ; বর্ষার গণ্ডিকে আরো ঘন কয়িয় চারিদিকে টানিয়া দিতেছে। তাহা অপেক্ষা ও একঘেয়ে । তাছা নিভৃত কোলাহল । ইহার সঙ্গে ঝিল্লীরব ভালরূপ মেশে ; কারণ, যেমন মেঘ, যেমন ছায়া, তেমনি ঝিল্লীরব আর একটা আচ্ছাদনবিশেষ ; তাহা স্বরম গুলে অন্ধকারের প্রতিরূপ ; তাহ বর্ষা-নিশীথিনাকে সম্পূর্ণত। দান করে । নীরবতার