পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o> 6 উৎসবগুলিকেই চিরপুরাতন বলিয়া তৃপ্তিলাভ করিতেছেন। “চন্দনাগুরুকস্ত রীকুঙ্কুমদ্রবসংযুতম্। আবীরচুর্ণং রুচিরং গৃহ্যতাং পরমেশ্বর।” ইতিমন্ত্রে শ্ৰীকৃষ্ণকে আবীরচুর্ণ প্রদান করিবার কথা ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে দেখিতে পাওয়া যায়। অনেকে ইহাকেই হোলীর ঐতিহাসিক স্বত্র বলিয়া ব্যাখ্যা করিতে পারেন। কিন্তু শ্ৰীকৃষ্ণ স্বয়ং মদনমহোৎসবে আবীরচুর্ণ লাভ করিতেন ; তাছাই তখনকার দোল ছিল । মদনমহোৎসবের দ্যায় আবীর ও ক্রমশ বর্ণ পরিবর্তন করিতেছে ! আর কিছুদিন পরে জাবীরের “লালে লাল’ স্থলভ হইয়া উঠিবে ; এখনই দোলের সময় বিলাতী রঙের প্রভাবে নাগরিকগণের উত্তরীয় ও পরিধের নীল, বেগুনি, নানা বর্ণে স্বরঞ্জিত হইতেছে! প্রাচীন মদনমহোৎসবে আবীরের লাল ও কুস্কুমের পীত বর্ণেরই প্রাধান্ত ছিল ; বস্ত্ররঞ্জনে “কৌস্তুস্ত” ব্যবহৃত হইত। বীহ প্রকৃতির বসস্তোদগত বিচিত্র বর্ণসমাবেশের সঙ্গে এই সকল দ্রব্যের বর্ণসামঞ্জস্য ছিল । যথা :– “বিকীর্ণ আবীরচুর্ণে আছ। যেন অকণ উদয়, কুস্কুমের চুর্ণে দেখ চারিদিক পীতবর্ণময়। স্বর্ণ আভরণ-আভা "কিৰুিরাত”পুষ্প ফোটে কত, ওচ্ছ গুচ্ছ পুষ্পভারে তরুশিৱ কিবা অবনত ॥” মদনোৎসবে পুষ্পের যথেষ্ট সমাদর ছিল ; হোলীক্তে সেরূপ পুষ্পসমাদর নাই । পুষ্পের সঙ্গে মাল্যের গৌরব ও তিরোহিত হইয়। গিয়াছে। মদনমহোৎসবে সে সকল প্রিয় পদার্থ ব্যবহৃত হইত, তন্মধ্যে আবীর কুঙ্কুमा नोभमोखरे दॐमान ; इंगा बलिङ्गा বঙ্গদর্শন। [ পৌষ । কুঙ্কুম পরিত্যক্ত হইয়াছে, বিলাতী-বর্ণচূর্ণ७धङां८द चांदौञ्च कुन्नड इहेब्रा फेलििब्रांtइ ! মদনমহোৎসবে নাগর-নাগরী পুষ্পমাল্যে সুশোভিত হইয়া হিনোলায় দোল থাইত ; তাহা এখন শ্ৰী ঐরাধাকৃষ্ণচন্নণারবিন্দে সমৰ্পিত হইয়াছে ! এই পরিবর্তনের মূলে মুসলমানশাসনের ন্যায় বৈষ্ণবাচারের প্রভাবও পরিলক্ষিত হয় । ভক্ত বৈষ্ণব বিষয়বিরক্ত অনাসক্ত হৃদয়ে আত্মবৎ সেৰাপদ্ধতি প্রচলিত করিয়াছেন । যাহাতে আত্মসুখ, তাহাই ভগবানে অৰ্পিত হইয়াছে বলিয়া, ভগবানকে এখন মশকদংশননিবারণের জন্ত মশারি পর্য্যন্তও ব্যবহার कब्लिcङ रुग्न । उदख्ङ्ग भांठT5नन ७ দোলারোহণ ও এইরূপে ভগবানের দোলোৎসবের মহিমা বৃদ্ধি করিতেছে পুরাকালের মদনমহোৎসবে এরূপ আত্ম- । ত্যাগের দৃষ্টান্ত দেখা যাইত না । তখন মানবসমাজ সরল শিশুর দ্যায় আননো হাসিত, উৎসবে নাচিত, উল্লাসে উন্মত্ত হইত ; বুকের মধ্যে চিতার আগুন চাপিয়া রাথিয় শুষ্কমুথে প্রসাদভিখারী ধৰ্ম্মকণ্ডুকধারী ভওভক্তের ন্যায় শূন্তমন্দিরে বসিয়া থাকিত না ! এখন কামিজ-ঢাকা বুকের মধ্যে কি থাকে, কেমন করিয়া বলিব ? তাই আমরা বেশ বুক ফুলাইয়া সেকালের মদনমহোৎসবকে কুকচিপূর্ণ অশ্লীল দেশাচার বলিয়া নিন্দা করি । আমাদের মুরুচি ও সদাচার আমাদিগকে কৃত্রিমতার অতল সলিলে কতদুর নিমজ্জিত করিতেছে, ভবিষ্যতের ইতিহাস তাহার গভীরতার পরিমাপ করিৰে ! ঐঅক্ষয়কুমার মৈত্রেয়।