পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मदभ-ग९थjौ ॥ } বহন করিয়া আজ পর্য্যস্ত পয়িষৎপত্রিক। বাহির হয় নাই, এবং পণ্ডিতমহাশয় আমার পাঠ শুনিয়াই প্রতিবাদ লিখিতে প্রবৃত্ত হইরাছেন, এ কথা স্বীকারই করিয়াছেন। অতএব, যখন আমি “থাংলা” বলিয়াছিলাম, তখন যদি বক্তার দুরদৃষ্ট ক্রমে শ্রোতা “থ"ালো”ই শুনিয়া থাকেন, তবে সেজন্য বক্তা ক্ষমা প্রার্থনা করিতে প্রস্তু ত আছেন । কিন্তু জিজ্ঞাস্ত এই যে, দুস্কৃতিকারীকে তৎক্ষণাং শাসন না করিয়া যে সকল নি তা স্তু নিরীহ নিরপরাধ লোক কলিকাতায় বাস করেন অথচ সাহিত্যচর্চা করেন এবং মৎস্তমাংস খাইয়া থাকেন, তাহাদিগকে খাম কা জবাবদিহিতে ফেলিলেন কেন ? প্রতিবাদী মহাশয় যদি কোন সুযোগে পরিষৎ-পত্রিকার প্রফু সংগ্ৰহ করিয়া তাহাতে এই ভুল দেখিয়া থাকেন, তবে সেজন্য ও আমাকে ক্ষমা করিবেন। ছাপার ভুলে যদি দণ্ডিত হইতে হয়, তবে দওশালায় পণ্ডিতমহাশয়ের ও সঙ্গ লাভ হইতে বঞ্চিত হইব না । এরূপ ছোট ছোট ভুল খুটিয়৷ মূলপ্রবন্ধেয় বিচার সঙ্গ ত নহে। “থiালো”, ‘শব্দট। রাখিলে বা বাদ দিলে আসল কথাটার কিছুই আসে যায় না । বাংলা “আল”. প্রত্যয়ের দৃষ্টান্তস্থলে ভ্রমক্রমে যদি “বাচাল” সংস্কৃত কথাটা বসিয়া থাকে, তবে সেটাকে অনায়াসে উৎপাটন করিয়া ফেলা যায়, তাহাতে বিবেচ্য বিষয়ের মূলে আঘাত করে না । “ছাগল" যদি সংস্কৃত-শব্দ হয়, তবে তাহাকে বাংলা “ল” প্রত্যয়ের দৃষ্টান্তগণ্ডী হইতে বিন ক্লেশে মুক্ত করিয়া দেওয়া বাইতে • পারে ; খাট বাংলা দৃষ্টান্ত ংলা ব্যাকরণ 8¢ዓ অনেক পাওয়া যাইবে । ধানের ক্ষেতের মধ্যে যদি দুটো একটা গত বৎসয়ের যবের শীষ উঠিয়া থাকে, তাহাকে রাখ বা ফেলিয়া দাও, বিশেষ আসে যায় না, তাই বলিয়াই ধানের ক্ষেতকে যবের ক্ষে ত বল চলে না । মোট কথাটার এবং আসল কথাটার উপর দৃষ্ট না রাখিয়া অনুবীক্ষণহাতে ছোট ছোট খুং ধরিবার চেষ্টায় বেড়াইলে খুৎ সৰ্ব্বত্রই পাওয়া ধায় —যে গাছ হইতে ফল পাড়া যাহতে পারে, সে গাছ হইতে কীটও পাওয়া সম্ভব, কিন্তু সেই কীটের দ্বারা গাছের বিচার করা যায় না । একটি গল্প মনে পড়িল । কোন রাজপুৎ গোফে চাড়া দিয়া রাস্তায় চলিয়াছিল । একজন পাঠান আসিয়া বলিল, লড়াই কর । রাজপুৎ বলিল, খামক লড়াই , করিতে আসিলে, ঘরে কি স্ত্রী-পুত্ৰ নাই ? পাঠান বলিল, আছে বটে, আচ্ছা তাহাদের একটা বন্দোবস্ত করিয়া আদিগে, বলিরা বাড়ি গিয়া সব কটাকে কাটয়া-কুটয় নিঃশেষ করিয়া আসিল । পাঠান দ্বিতীরবার লড়াইয়ের প্রস্তাব করিতেই রাজপুং জিজ্ঞাসা করিল, আচ্ছ ভাই, তুমি যে লড়াই করিতে বলিতেছ, আমার অপরাধটা কি ? পাঠান বলিল, তুমি যে আমার সাম্gন গোফ তুলিয়া আছ, সেই অপরাধ। রাজপুৎ তৎক্ষণাৎ গোফ নামাইয়া দিয়া কহিল, আ ছা ভাই, গোফ নামাইয়া দিতেছি ! প্রতিবাদী মহাশয়ের কাছে আমারও প্রশ্ন এই যে, ঐ “ছাগল”, “বাচাল”, “থ্যালো” এবং “নৈমিত্তিক’ শব্দ কয়েকটি লইয়াই কি আমার সঙ্গে তাহার বিবাদ ?