পাতা:বঙ্গে বর্গী - নিশিকান্ত বসু রায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দৃশ্য বঙ্গে বগীী ve ভাস্কর । দাড়া-সোজা হ’য়ে দাড়া-ভাস্কর পণ্ডিতের আদেশ লজঘন ছেলেখেলা নয় পিস্তল উদ্যত করিলেন-সৈনিকগণ কঁাপিতে কঁাপিতে বসিয়া পড়িল গৌরী। বাবা, হতভাগ্যেরা সোজা হ’য়ে দাড়াতে পারছে না-ঐ দেখুন কঁাপিচে-বিশ্বনাথ এদের দণ্ড দিয়েছেন বাবা । ভাস্কর। তা’ হয় না গৌরী। গৌরী । হত্যা ক’লে ত প্ৰায়শ্চিত্তের অবকাশ পাবে না, অনুতাপের সময় হবে না। পাপের উচ্ছেদ পাপীর হত্যায় হবে না। বাবা, ংশোধনে হবে । এদের মার্জন করুন, জীবন ভিক্ষা দিন । নীরব রইলেন ? বাবা, আমি নতজানু হ’য়ে করযোড়ে এই হতভাগ্যদের জীবন डिलक्रा bाछेछि । दादा ভাস্কর। গৌরী ! ওঠ মা, তোমার কাতরতায় ভাস্কর পণ্ডিত তার আদেশ অমান্যকারীকে জীবনে আজ প্ৰথম মার্জনা ক’ল। যাদুবৃত্তগণ এই মুহূৰ্ত্তে আমার শিবির হ’তে দূর হ”- সৈন্যগণের প্রস্থান গৌরী। আমায় তুমি এত ভালবাস বাবা, আজি দু’। দু’টো প্ৰাণ আমায় ভিক্ষা দিলে। এমন বাবা যুর নেই, তার মত দুঃখী এ জগতে আর কেউ নেই। ভাস্কর। আর এমন মা-ও যার নেই, তার মত দুঃখীও এ জগতে কেউ নেই। গৌরী। আমি ত তোমায় কিছু দিই নি বাবা । । ভাস্কর। দাও নি। তুমি আমায় আজ যা দিয়েছ মা, তা কেউ কাউকে দিতে পারে না । আজ যদি আমার সেনাবাসে আমার সৈন্যদের দ্বারা এই বালিকার উপর কোনরূপ অত্যাচার সংঘটিত হ’ত, তবে