পাতা:বঙ্গে বর্গী - নিশিকান্ত বসু রায়.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গে বগী चिऊँीश कश्ह উমা । তোমার পায়ে পড়ি, ঠাকুরের গলার হারটি আমায় ভিক্ষা দেও-আমার গায়ে যা” কিছু ছিল সবই ত তোমাকে খুলে দিয়েছি—শুধু ঐ হারটি আমায় ভিক্ষা দাও-ভিক্ষা দাও-( পদতলে পড়িল ) উপা। মায়া কান্না শুনতে আমি আসি নি-দিবি কি না ? উমা । আমায় না মেরে ফেলে ও-হারে তুমি হাত দিতে পারবে নাউপা। তবে রে শালী-ঢং ক’রতে এসেছ ! উমাকে পদাঘাতে সরাইয়া দিয়া অগ্রসর হইল। ভুলুষ্ঠিতা উমা ত্বরিতে উঠিয়া তাহাকে বাধা দিলেন উমা । সর্বনাশ ক’র না-সর্বনাশ কা’র না-দোহাই তোমার ফিরে এস দেবতার গলার হার-দোহাই তোমার উপা। রেখে দে তোর দেবতা উপানন্দ উমাকে ঠেলিয়া দিয়া হার আনিলেন ঠিক সেই সময় নেপথ্যে গুড়ুম করিয়া বন্দুকের শব্দ হইল উমা । এ্যা । ক’রলে কি ! সত্যই আনলে । উমা শিবলিঙ্গের উপর মুচ্ছিত হইয়া পড়িয়া গেলেন উপা । যা শালী, এখন যত পারিস ঢং কুর গে” । নেপথ্যে পুনরায় বন্দুকের শব্দ উপা। এ কি, এত নিকটে । পালাবার সময় পাব তা ? এ দিকে শব্দ-ঐ দিকে পালাই ঠিক সেই সময়ে একজন মারাঠা সৈনিকের প্রবেশ । মুহুৰ্ত্তে সৈনিক উপানন্দের গলা চাপিয়া ধরিল সৈনিক । কোথায় পালাবে সোনার চান্দা-আমাদের চোখে ধুলো দিয়ে কোথায় পালাবে ?