পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভরদ্বাজ গোঞ্জ সিংহ-বংশ । ] উত্তরক্ষাজীৱ কাঙ্কস্থ-কাণ্ড పిసిసి কৃষ্ণবল্লভপ্রিয় ভগ্ন মন্দিরটা নুতন করিয়া নিৰ্ম্মাণ করিবার জন্ত চেষ্টত ছিলেন। কিন্তু , বহু ব্যয়সাধ্যব্যাপার বলিয়া হঠাৎ কিছু করিয়া উঠিতে পারেন নাই। উপরন্তু সুদীর্ঘ ৩০ বৎসর মধ্যে অনেকগুলি সামাজিক ব্যাপারে উহাকে বহু সহস্র অর্থ ব্যয় করিতে হইয়াছিল। সেই জন্ত বৎসর বৎসর মন্দির নির্মাণ জন্য কিছু কিছু অর্থ সঞ্চয় করিতেন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে তিনি প্রায় ১ লক্ষ ইষ্টক প্রস্তুত ও কিছু কিছু নগদ অর্থ সংগ্রহ ও বহুব্যয়ে একজন সুবিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মন্দিরের নক্স প্রস্তুত করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন। তাহার উপযুক্ত ভ্রাতুপুত্রগণ র্তাহার মৃত্যুকালীন কামনাপূর্ণ জন্য মন্দির নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়াছেন। প্রায় অৰ্দ্ধলক্ষ টাকা ব্যয় হইবে শুনা যায় । দোল পৰ্ব্ব উপলক্ষে গোপীনাথপুরে একটা মেলা হুইয়া থাকে। কৃষ্ণবল্লভ উক্ত মেলা স্থানে জলকষ্ট নিবারণ জন্য বহুসংখ্যক নলকূপ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। একজন হেলথঅফিসার, একদল পুলীশ ফৌজ এবং একজন রাজপুরুষ ১৫ দিন কাল এই মেলায় উপস্থিত থাকেন । র্তাহাদিগের যাবতীয় ব্যয় সেবাইৎগণকে বহন করিতে হয় । শ্ৰীশ্ৰীগোপীনাথের সহিত সেবিত কৃষ্ণ ও বলরাম বিগ্রহ প্রতিবৎসর মাঘ মাসে একবার করিয়া পুরাতন গোপীনাথপুরের মন্দিরের ভিটায় গিয়া বনভোজন করিয়া থাকেন । দোল উপলক্ষে ঠাকুর গ্রামের দক্ষিণ মেলা স্থানের মন্দিরে গিয়া ৭ দিন তথায় অবস্থান করেন। রাসযাত্রা উপলক্ষে রাসবাড়ী ও রথযাত্রা উপলক্ষে পিত্তল নিৰ্ম্মিত মুবৃহৎ রথে গুণ্ডিচাবাড়ী যাইবার ব্যবস্থা আছে। দর্শন উপলক্ষে অনেক বড় বড় রাজপরিবারের এবং জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট প্রভৃতি উচ্চ পদস্থ রাজকৰ্ম্মচারীগণের বাড়ীর স্ত্রীলোকগণ এখানে আসিয়া সেবাইৎগণের পরিবাব মধ্যে অবস্থিতি করিয়া থাকেন। বহু ইষ্টকালয় রহিয়াছে, কিন্তু সেবাইৎগণের বাসের চত্বর বাটীর দেওয়ালের ঘর কোনওটা টনের চাল কোনওটা বা খড়ের চাল । সম্ভবতঃ ইষ্টকালয়ে বাস করিলে চিত্তে রাজসিক ভাব আসিতে পারে বলিয়। পরম বৈষ্ণব সেবাইৎগণ স্বীয় পরিবারবর্গের বাসের জন্ত মুক্তিকার ঘরের ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন । ইহাদের বাড়ীতে একটা মধ্য ইংরাজী বিদ্যালয়, একটা ছোট ডাক্তারখানা ও একটা ডাকঘর রহিয়াছে। অতিথির আশ্রয় জন্য অনেকগুলি ঘর আছে। এই সেবাইৎগণের পূর্বতন পুরুষগণুের রচিত গ্রন্থাদি ও বাদশাহী সনদ ও জমিদারদিগের দানপত্র ইত্যাদি একখানি গোগাড়ী বোঝাই কাগজ বগুড়া জেলার ভূতপূৰ্ব্ব ম্যাজিষ্ট্রেট স্বৰ্গীয় উমেশচন্দ্র বটব্যাল মহাশয় ইতিহাস লিখিবার উদেখে গইয়া গিয়াছিলেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় তাহার অকালমৃত্যু হওয়ায় সেগুলি প্রকাশিত হয় নুই। " ভরদ্বাজসিংহ হইতে বৰ্ত্তমান পুরুষ পর্যন্ত এই বংশের বংশলতার একটী নকুল অামাদিগের দৃষ্টগোচর হইয়াছিল,কিন্তু তাল আমাদিগের হস্তগত না হওয়ায় উপস্থিত যতদূর পাওয়া গেল দেওয়া হইল ।