পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=ਭੋ ਕ਼ੁਝ বিরামপুরের দত্তবংশ বিভাকরের ধারা বিভাকর দত্তখ৷ দম্ভবড়্য বা বরুটিয়া হইতে গিয়া ঠেঙ্গাপুর বা বিরামপুরে বাস করিয়া ছিলেন। তাহার বংশধরগণ অনেকে এখনও তথায় বাস করিতেছেন। এই বিরামপুর বা বিয়ছিমপুর গ্রামে বাস করিবার বিষয়ে একটি মুন্দর আখ্যায়িক রহিয়াছে। একদা বরুটিয়া গ্রামে সংক্রামক ব্যাধি হইয়া লোকক্ষয় আরম্ভ হইলে প্রবলপ্রতাপান্বিত দত্তখীগণ উক্ত গ্রাম ত্যাগ করিয়৷ ৩ মাইল দক্ষিণে একটি গ্রামে বাস করিতে ইচ্ছা করেন ও নবাবের নিকট হইতে অনুমতি প্রার্থনা করেন। প্রার্থনা মঞ্জুর হইলে দত্তখী স্বীয় সৈন্যদিগের সাহায্যে উক্ত মনোনীত স্থানট বলপূৰ্ব্বক অধিকার করেন এবং অধিবাসিগণকে ঠেঙ্গাইমু তাড়াইয় দেন। এজন্ত উক্ত গ্রামের নাম সাধারণ লোকে ঠেঙ্গাপুর বলিত, কিন্তু সেরেস্তায় লেখা হইল বে-রহমপুর ( রহম্= দয়া, বে =হীন ) অপর্ণৎ নিষ্ঠুর পুরী । এই বেরহমপুর কালে বিরছিমপুর ও বিরামপুরে পরিণত হইয়াছে। এখানে আসিয়া দন্তুখীগণ 9রাধাকান্তজিউ বিগ্রহের সেবা স্থাপন করেন এবং দিনে অন্ন ও রাত্রে লুচি ভোগের ব্যবস্থা করেন । উক্ত সেবা পরিচালন জন্য অনেক দেবোত্বর সম্পত্তি অর্পণ করিয়াছিলেন। কোনও সময়ে সালঙ্কার ধাতুময়ী রাধামূৰ্ত্তিটি চুরি হইলে দ্বিতীয় মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে একটি পুষ্করিণীর মধ্যে পূৰ্ব্ব মুক্তিটি পাওয়া যায় । এক্ষণে ঠাকুরের দুই পাশ্বে দুইটি রাধা মূৰ্ত্তির সেবা হইয়া থাকে। এই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পর হইতে গ্রামে কোনও মৃন্ময়ী প্রতিমার পূজা হয় না। বিভাকর দত্ত বংশয় ব্যতীত এই গ্রামে আরও অনেক দত্তবংশ রহিয়াছেন , তাহদেরও দেবসেবা রহিয়াছে। এই দত্তবংশের দৌহিত্র এবং মল্লিক প্রয়াগ ঘোষ বংশীয় সুজন মল্লিক একজন ভক্ত বৈষ্ণব ও সুগায়ক ছিলেন । সুপ্রসিদ্ধ কীৰ্ত্তনীয়। রসিক দাস সুজন মল্লিকের নিকট কীত্তন শিক্ষা করিয়াছিলেন । এই গ্রামে বৎসরে একবার করিয়া চব্বিশ প্রহর কীৰ্ত্তনের ও তৎসহ বহু বৈষ্ণব ও দরিদ্র ভোজনের ব্যবস্থা রহিয়াছে । డ