পাতা:বড়বাড়ী - জলধর সেন.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ दएछुदाएंछी রঙ্গিনী এই শিক্ষাই পাইয়াছিল। যদিও সে দেখিত যে, অনেক সময়ে কাত্তিক স্ত্রীর সঙ্গে দিবাভাগেই কথা বলেন, এবং সুপ্ৰভা ও তারকের সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তা বলেন ; কিন্তু রঙ্গিনী তাহা পাব্লুিত না। সে সুরেন্দ্ৰকে দেখিলে সলজ্জভাবে প্রস্থান করিত। কখনও দিবাভাগে তাহার সহিত কথা কহিত न्मl ; তাহার ভয় ছিল পাছে কেহ তাহাকে নিলাজ বলে। যদি কখনও ঘটনাক্রমে নিরালায় স্বামীর সঙ্গে তাহার দেখা হইয়া যাইত, তাহা হইলে সে কেবলমাত্ৰ সুরেন্দ্রের মুখের দিকে চাহিয়া একটুখানি হাসিয়াই পলায়ন করিত। আজ সকাল-সকাল সুরেন্দ্ৰ নিজের ঘরে শয়ন করিতে গেলেন। ঘরের এক পাশ্বে একখানা টেবিল ; এক কোণে পিলসুজের উপর একটি প্ৰদীপ জলিতেছে ; অপর পাশ্বে একখানি পালঙ্ক ; ঘরে গিয়া সুরেন্দ্ৰ সেই টেবিলের নিকট একখানি চেয়ার টানিয়া লইয়া পড়িতে বসিলেন। এতদিন পৰ্য্যন্ত বাটীতে আসিয়া তিনি একেবারেই পড়াশুনা করিতে পারেন নাই। তাই আজ পুস্তক লইয়া বসিলেন বটে, কিন্তু মনঃসংযোগ করিতে পারিলেন না। ঘরের মধ্যে কাহার দুটি চরণপাতের মৃদুশব্দের আশায় উৎকৰ্ণ হইয়া রহিলেন। রঙ্গিনীও আজি অত্যন্ত উৎসাহের সহিত গৃহকাৰ্য্য করিতেছিল এবং অল্পকালের মধ্যেই সমস্ত নিঃশেষ করিয়া মেয়েদের জন্য সকালবেলার খাবার লইয়া উপরে গেল। গিয়া দেখিল কাৰ্ত্তিক এবং তারক পূর্বারেই নিজেদের ঘরে চলিয়া গিয়াছেন। তখন আস্তে