পাতা:বর্ত্তমান জগৎ চতুর্থ ভাগ.pdf/৬৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমেরিকার হিন্দুস্থান-পরিষৎ জাতীয় শিক্ষা-পরিষদে”র প্রবৰ্ত্তিত শিক্ষা-ব্যবস্থানুসারে প্রাথমিক শিক্ষা পাইয়া আমেরিকায় নানা বিদ্যার অধিকারী হইয়াছে। আমেরিকার নামে নাক শিটুকান আমাদের দেশে একটা ফ্যাশান দাড়াইয়াছে । এই জন্য আমেরিকায় শিক্ষাপ্রাপ্ত গ্র্যাজুয়োটগণের সম্মান ভারতবর্ষে নাই। বোধ হয় প্ৰথম প্ৰথম কোন কোন ছাত্র আমেরিকায় লেখাপড়া না শিখিয়াই দেশে ফিরিত। তাহদের দৃষ্টান্তে দেশনায়কেরা DDBJSDD DDBBBB SBDBDDD DB tLgB DD D BDB ছাত্রেরা আমেরিকায় আসিলে জুয়াচুরী ও প্ৰবঞ্চনা শিখে। বিশেষত:, আমাদের ছাত্রেরা প্ৰায় কেহই উপযুক্ত অর্থ-সাহায্য স্বদেশ হইতে পায় নাই ! নিয়মিতরূপে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করিতে হইলে অন্ততঃ ১৫ ১২ টাকা মাসিক আবশ্যক হয় ; এই টাকার সিকি অংশ ও অনেকের কপালে জুটে নাই। তাহাদিগকে শারীরিক পরিশ্রম করিমু জীবনধারণ করিতে ই ইয়াছে। মাত্র অবসর মত অধ্যয়নের সুযোগ তাহদের ভাগ্যে জুটিয়াছে। এই কারণে ৭ আমাদের যুবকেরা সুফল দেখাইতে পারে নাই । তাহার উপর মনে রাখা আবশ্যক যে, আমেরিকায় ভারতবর্ষের শ্ৰেষ্ঠ ছাত্ৰগণ কোন দিনই আসে নাই । বিদেশে “ ভালছেলে”র আসিন্সে চাহিলে তাহাদিগকে অক্সফোর্ড-কেম্বি জে পাঠান হয়। উৎকৃষ্টতর ছাত্ৰাদিগকে বালিনে পাঠান হয়। কাজেই আমেরিকায় ভারতীয় ছাত্রের কৃতিত্ব উচ্চতম শ্রেণীর অন্তৰ্গত হইতেই পারে না । আর এক কথাপ্রথম প্ৰথম আমাদের ছাত্রেরা বিদেশে আসিতে চাহিত না । তখন কঠোরভাবে নির্বাচন না করিয়াই বহু ছাত্র পাঠান হইয়াছিল। কয়েকজন নিতান্ত অনুপযুক্ত ছাত্রও এই উপায়ে জাপানে এবং আমেরিকায় আসিতে পারিয়াছিল। এণ্টান্স-ফেল, বি এ-ফেল যুবকও বিদেশে ‘বিজ্ঞান শিখিতে আসিয়াছে ! এইজন্য দেশে একটা গুজব রাটিয়াছিল