পাতা:বর্ত্তমান জগৎ চতুর্থ ভাগ.pdf/৬৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আইওয়ায় পল্লীজীবন আইওয়া সহরটা ঠিক যেন বাঙ্গালাদেশের রংপুর। বাড়ী-ঘর, স্বাস্তা-ঘাট, দোকান-বাজার সবই আমাদের মফঃস্বলের কথা মনে করাইয়া দেয় । রাজধানীর ধুলা-ময়লা, গালি-ঘোচ এখানে নাই । বহুতলবিশিষ্ট গৃহও এখানে দু-একটার বেশী দেখিতে পাইতেছি না। ফাক পরিষ্কার কোলাহলহীন পল্লী জীবন যাপন করা যাইতেছে । সহরের পাকা পাকা ধাধান রাস্তায় ১৫/২০ মিনিট হাটিয়াই খাটি বনভূমি, কৃষিক্ষেত্র ও পল্লীপথে পৌছান যায়। বর্ষাকালে রাস্তায় জল-কাদার উপদ্রবও নিতান্ত কম নয়। কর্দমাক্ত পল্লী রাস্তায় গরুর গাড়ী চলিয়া গেলে যেরূপ অবস্থা হয়, শুনিলাম, এই সহরের আশে পাশেই সেই ধরণের অবস্থা বৃষ্টিকালে ঘটিয়া থাকে । ক্ষুদ্র আইওয়া নদী নগরের শোভা বৃদ্ধি করিয়াছে। নদীর জল বাধয়। রাখিয়া নগর-শাসকেরা কৃত্ৰিম প্রপাত তৈয়ারী করিয়া লইয়াছেন । সেই প্ৰপাত হইতে বৈদ্যুতিক শক্তি সৃষ্টি করা হয়। তাহার দ্বারাই নগরের আলোক, ট্রামওয়ে ইত্যাদি সম্পর্কিত কলকারখানাগুলি চালান হহঁয়া থাকে। আমেরিকায় বিদ্যুতের ব্যবহার নিতান্তই মামুলি ঘরোয় কথা । পাড়াগায়ের লোকেরাও বিদ্যুৎ-পরিচালিত কলীযন্ত্রসমূহকে সাধারণ হাড়ী-কলসীর মত ব্যবহার করিতে সুদক্ষ । এখানে তড়িচ্চালিত মোটরগাড়ীগুলি আমাদের গরুর গাড়ীর মত সর্বত্ৰ দেখিতে পাওয়া যায়। ভারতীয় প্ৰসিদ্ধ নগরসমূহের অধিবাসীরাও যে সমুদয় বস্তু দেখিলে বিস্মিত ও রোমাঞ্চিত হইবেন এখানকার পল্লীবাসীগণ ཉག་