পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



ন্যায়রত্নপ্রকরণ



 বরিসালনিবাসী শ্রীযুত রাজকুমার ন্যায়রত্ন, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ডের শাস্ত্রীয়তাপক্ষ রক্ষা করিবার নিমিত্ত, যে পুস্তক প্রচার করিয়াছেন, উছার নাম “প্রেরিত তেঁতুল”। যে অভিপ্রায়ে স্বীয় পুস্তকের ঈদৃশ রসপূর্ণ নাম রাখিয়াছেন, তাহা বিজ্ঞাপনে ব্যক্ত করিয়াছেন। বিজ্ঞাপনের ঐ অংশ উদ্ধৃত হইতেছে;

 “যাঁহারা সাগরের রসাস্বাদন করিয়া বিরুতভাব অবলম্বন করিয়াছেন, তাঁহাদিগকে প্রকৃতভাবস্থ করিবার নিমিত্ত এই তেঁতুল প্রেরিত হুইল বলিয়া “প্রেরিত তেঁতুল” নামে গ্রন্থের নাম নির্দ্দিষ্ট হইল”।

স্বপ্রচারিত বিচারপুস্তকের এইরূপ নামকরণানন্তর, কিঞ্চিৎ কাল রসিকতা করিয়া, ন্যায়রত্ন মহাশয় জীমূতবাহনকৃত দায়ভাগের ও দায়ভাগের টীকাকারদিগের লিখনমাত্র অবলম্বনপূর্ব্বক, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহব্যবহারের শাস্ত্রীয়তা সংস্থাপনে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। যথা,

 “এক পুরুষের অনেক নারীর পাণিগ্রহণ করা উচিত কি না, এই বিষয় লইয়া নানাপ্রকার বিবাদ চলিতেছে। কতকগুলি ব্যক্তি বলিতেছে উচিত, আর কতকগুলি বলিতেছে উচিত না। আমরা এপর্য্যন্ত কোন বিষয় লিপিবদ্ধ করি নাই সম্প্রতি উল্লিখিত বিষয়ের বিবরণযুক্ত একখানি পুস্তক প্রাপ্ত হইয় জানিলাম বহুবিবাহ অনুচিত, ইহারই পোষকতার জন্য নানাবিধ ভাবযুক্ত সুললিত বঙ্গভাষাতে অনেকগুলি রচনা করা হইয়াছে