হইতেছে, বিবাহের নিত্যত্বব্যবস্থা বিষয়ে অন্ততঃ মিতাক্ষরানামক গ্রন্থের সম্মতি আছে। কৌতুকের বিষয় এই, তিনি মিতাক্ষরার উপরি উদ্ধৃত অংশের
“রতিপুত্রধর্ম্মার্থতেন বিবাহস্ত্রিবিধঃ”।
বিবাহ ত্রিবিধ রত্যর্থ, পুত্রার্থ ও ধর্ম্মার্থ।
এই প্রথম বাক্যটি বিবাহের কাম্যত্বসংস্থাপনপ্রকরণে প্রমাণস্বরূপ উদ্ধৃত করিয়াছেন (৭২);[১] কিন্তু উহার অব্যবহিতপরবর্ত্তী
“তত্র পুত্রার্থো দ্বিবিধঃ নিত্যঃ কাম্যশ্চ”।
তন্মধ্যে পুত্রার্থ বিবাহ দ্বিবিধ নিত্য ও কাম্য।
এই বাক্যে, নিত্য কাম্য ভেদে বিবাহ দ্বিবিধ, এই যে নির্দ্দেশ আছে, অনুগ্রহ করিয়া দিব্য চক্ষে তাহা নিরীক্ষণ করেন নাই।
বিবাহের নৈমিত্তিকত্ব বিষয়েও প্রসিদ্ধ গ্রন্থের সম্মতি দৃষ্ট হইতেছে। যথা,
“অধিবেদনং ভার্য্যান্তরপরিগ্রহঃ অধিবেদননিমিত্তান্যপি স এবাহ
সুরাপী ব্যাধিতা ধূর্ত্তা বন্ধ্যার্থঘ্নপ্রিয়ংবদা।
স্ত্রীপ্রসূশ্চাধিবেত্তব্যা পুরুষদ্বেষিণী তথেতি (৭৩)॥”
পূর্ব্বপরিণীতা স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় দারপরিগ্রহের নাম
অধিবেন। যে সকল নিমিত্তবশতঃ অধিবেদন করিতে পারে, যাজ্ঞবল্ক্য
তৎসমুদয়ের নির্দ্দেশ করিয়াছেন। যথা, স্ত্রী সুরাপায়িণী,
চিররোগিণী, ব্যভিচারিণী, বন্ধ্যা, অর্থনাশিনী, অপ্রিয়বাদিনী,
কন্যামাত্রপ্রসবিনী, ও পতিদ্বেষিণী হইলে, পুনরায় দারপরিগ্রহ
করিবে।