পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা ভরসা করি, জাদুমণি আমাদের ফুল মার্কস পেয়েই পরীক্ষা পাস করেছিল । আর এর পর, কন্যাও জাদুর ঐ প্রচ্ছন্ন স্তবে তুষ্ট হয়ে তার সঙ্গে তার ঘরে যেতে আর কোনো আপত্তি ওঠায় নি । এ ছাড়া, বাংলার লোকসঙ্গীতে বাউলের গানে পূর্বাঞ্চলের ভাটিয়ালি কি সারি-জারি গানে বাংলার মেয়েলি ব্ৰতকথার মাঝে মাঝে ধূত ছড়ায় ষে লিরিক রস আছে, তার ব্যাখ্যা দিতে বসলে পুথি বেড়ে যাবে। স্বতরাং ক্ষাস্ত দিলুম। তবে বাউলগানের একটু পরিচয় দিতেই হয়। বিস্তারে না হোক ংক্ষেপে । কিন্তু তার আগে একটা ঘটনা উল্লেখ করার লোভ সংবরণ করতে পারছি না । শাস্তিনিকেতনে যাচ্ছি। রেলের গোলমালে গাড়ি বিকেলে না পৌছে একটু সন্ধ্যে করেই বোলপুর স্টেশনে পৌছল। শুক্লপক্ষের রাত্রি । চারিদিক জোছনায় ভরে গেছে। তখন বাস্ট্যাকসির রেওয়াজ ছিল না । গোরুর গাড়িই সম্বল। তারই একটাতে চড়ে বসলুম। শাস্তিনিকেতনের মেঠে রাস্তা বেয়ে যেতে যেতে গোরুর গাড়ির গাড়োয়ান গান ধরল। তার একটি লাইন আজ চল্লিশ বছরের উপর ধরেও মনের মধ্যে উজ্জল হয়ে আছে : বন পোড়া যায় সবাই দেখে আমার মন পোড়ে তা কেউ দেখে না । বাউলগানকে চর্যাগানের একেবারে সোজাসুজি বংশধর বলে উক্তি করলে সে-উক্তি অত্যুক্তি হবে না। তবে মুশকিল এই যে, বাউলগানের প্রাচীন রূপ আমাদের তত চোখে পড়ে না । বাউলরা ভদ্রসমাজে যেমন অবজ্ঞাত, তাদের গানও তেমনি এতদিন সমাজে অনাদৃত ছিল। বাউলরা নিজেই তো নিজেদের বাতুল পাগল ক্ষ্যাপা ইত্যাদি অখ্যা দিয়ে মাটি