পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংলা লিরিকের গোড়ার কথা 8 S করেছেন, অন্যের কি দোষ ? কাজে কাজেই পদাবলী গানের মতো বাউলগান কেউ সংগ্রহ করে পুথিতে লিপিবদ্ধ করে যান নি। বাউলগান এই তো সেদিন মাত্র ভদ্রলোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করল। তাই আমরা এখন যেসব বাউলগান শুনতে পাই তাদের সবই প্রায় অর্বাচীন। অনেক জায়গায় আবার দেখে-শুনে সন্দেহ হয়, ভদ্রজনের সংগ্রহ করার পর তাতে নিজেদের হাতও যেন কিছু কিছু বুলিয়েছেন। তবে সম্পূর্ণভাবে বিকৃত করতে পারেন নি। কারণ ভাষার দিক থেকে খানিকটা আধুনিক মনে হলেও ভাবে আর ইডিয়মে বাউলগান চর্যাগানেরই অনুরূপ । বাউলগানেও তো দেখতে পাচ্ছি সহজধর্মের পুরনো সেই কায়সাধনার অর্থাৎ কায়যোগের স্বর। তাই তাদের মুখে উঠতে-বলতে এই বচন, যা নেই ভাণ্ডে তা নেই ব্ৰহ্মাণ্ডে । এবং ঠিক এই কারণেই তাদেরও বাহ্যিক ধর্মানুষ্ঠানের কোনো বালাই নেই, তাতে ভক্তিশ্রদ্ধাও কিছুমাত্র নেই । পদাবলী গান গাইবার জন্যে যেমন নতুন ঢঙের কীর্তনের স্বর স্বষ্টি হল, বাউলগান গাইবার জন্যেও তেমনি এক বিশিষ্ট বাউল স্বরের আমদানি হল । দুইই বাংলাদেশের নিজস্ব স্বর। এবং এই দুই স্বরই কালক্রমে অন্য শ্রেণীর অনেক গানেও বেশ মানানসই হয়েই চলে গেছে । নানা জায়গার থেকে উদ্ধার করা খানকয়েক টুকরো টুকরো বাউলগানের নমুনা দিচ্ছি। এদের পাঠান্তরও অনেক আছে । তাই তে। বাউল হইনু ভাই । এখন চরিবেদের ভেদবিভেদের আর দাবি-দাওয়া নাই। তাই আর তত্ত্বে ফত্তে মন মানে না । মনের মানুষ চাই-ই চাই ।