পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 83 & একটা নিয়ম খুজিতে প্রবৃত্ত হইলাম । য়ুনিভার্সিটি কলেজের লাইব্রেরিতে यनिग्न ७हे कांछ कब्रिडांब ।** বঙ্গভাষী । দীনেশচন্দ্র সেন -প্রণীত ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ ( ১৮৯৬ খ্ৰী.) গ্রন্থের সমালোচনারূপে ভারতী ১৩•৫ বৈশাখে প্রকাশিত। পরবর্তীকালে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি রবীন্দ্র-রচনাবলী অষ্টম খণ্ডে সাহিত্যের পরিশিষ্টে মুদ্রিত। বর্তমান গ্রন্থে শবতত্ত্বের প্রাসঙ্গিক অংশ সংকলন করা হইয়াছে। গ্রন্থসমালোচনাসূত্রে প্রারম্ভে এবং উপসংহারে বঞ্জিত অংশ নিয়ে উদদ্ভুত হইল : প্রথমাংশ “ঐযুক্ত বাৰু দীনেশচন্দ্র সেন-প্রণীত ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ এই-শ্রেণীয় বাংলা পুস্তকের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছে। সৌভাগ্যের বিষয় এই ষে পুস্তকখানি সাধারণের নিকট সমাদর লাভ করিয়া প্রথম সংস্করণের প্রাস্তশেষে উত্তীর্ণ হইয়াছে। বিদ্যোৎসাহী উদার-হৃদয় ত্রিপুরার স্বৰ্গীয় মহারাজা এই গ্রন্থমুদ্রাঙ্কণের ব্যয়ভার বহন করেন। রোগশয্যাশায়ী লেখক মহাশয় সংশোধিত ও পরিবর্ধিত আকারে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের জন্য উৎস্থক হইয়াছেন। আশা কল্পি অর্থসাহায্য-অভাবে তাহার এই ইচ্ছা নিষ্ফল হইবে না। এই গ্রন্থের আরম্ভভাগে বঙ্গভাষা সম্বন্ধে যে আলোচনা প্রকাশিত হইয়াছে তাহাতে লেখকের চিন্তাশীলতার সবিশেষ পরিচয় পাওয়া যায় এবং তাহার স্বার। পদে পদে পাঠকেরও চিন্তাশক্তির উদ্রেক করিয়া থাকে। সেইসঙ্গে মনে এই খেদটুকুও জন্মে যে বাঙালার ভাষাতত্ত্ব সম্বন্ধে আলোচনা যথোচিত বিস্তৃত হয় নাই । বিষয়টির কেবল অবতারণা হইয়াছে, তাহাকে আরও খানিকট অগ্রসর দেখিলে মনের ক্ষোভ মিটিত । কিন্তু বাঙালির ক্ষোভের কারণ, খেদের বিষয় বিস্তর আছে । অনেক জিনিস হওয়া উচিত ছিল যাহা হয় নাই, এবং সেজন্য আমরা প্রত্যেকেই কিছুনা-কিছু দায়ী । অথচ যে ব্যক্তি চেষ্টা করিয়া অনিবার্ষ কারণে সম্পূর্ণতা লাভ করিতে পারেন নাই সমালোচকের উচ্চ আসন হইতে বিশেষ করিয়া তাহায়ই কৈফিয়ত তলব করা শক্ত নহে। কিন্তু আমাদের সে অভিপ্রায় নাই। এবং ১. অপিচ দ্রষ্টব্য “বাংলা উচ্চারণ* প্রবন্ধ 韃