পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぬbr শৰাতত্ত্ব ব্যাকরণ এক নহে । আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে, এই সামান্ত কথাটাও প্রকাশ করিতে প্রচুর পরিমাণে বীররসের প্রয়োজন হয়। বাংলার সংস্কৃত অংশের ব্যাকরণটি কিঞ্চিৎ পরিমাণে পরিবর্তিত সংস্কৃত ব্যাকরণ । আমরা যেমন বিদ্যালয়ে ভারতবর্ষের ইতিহাস নাম দিয়া মহম্মদঘোরী বাবর হুমায়ুনের ইতিহাস পড়ি তাহাতে অতি অল্প পরিমাণ ভারতবর্ষ মিশ্রিত থাকে তেমনি আমর! বাংলা ব্যাকরণ নাম দিয়া সংস্কৃত ব্যাকরণ পড়িয়া থাকি তাহাতে অতি অল্প পরিমাণ বাংলার গন্ধ মাত্র থাকে। এরূপ বেনামীতে বিদ্যালাভ ভাল কি মন্দ তাহা প্রচলিত মতের বিরুদ্ধে বলিতে সাহস করি না, কিন্তু ইহা যে বেনামী তাহাতে কোনো সন্দেহ নাই। কেবল দেখিয়াছি শ্ৰীযুক্ত নকুলেশ্বর ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়র্তাহার রচিত বাংলা ব্যাকরণে বাংলা ভাষার বাংলা ও সংস্কৃত দুই ংশকেই খাতির দেখাইবার চেষ্টা করিয়াছেন, ইহাতে তিনি পণ্ডিত সমাজে সুস্থ শরীরে শাস্তি রক্ষা করিয়া আছেন কি না সে ংবাদ পাই নাই । এই যে বাংলায় আমরা কথাবার্তা কহিয়া থাকি—ইহাকে, বুঝিবার স্থবিধার জন্য প্রাকৃত বাংলা নাম দেওয়া যাইতে পারে। যে বাংলা ঘরে ঘরে মুখে মুখে দিনে দিনে ব্যবহার করা হইয়া থাকে —বাংলার সমস্ত প্রদেশেই সেই ভাষার অনেকটা ঐক্য থাকিলেও সাম্য নাই। থাকিতেও পারে না। সকল দেশেরই কথিত ভাষায় প্রাদেশিক ব্যবহারের ভেদ আছে । সেই ভেদগুলি ঠিক হইয়া গেলে, ঐক্যগুলি কী বাহির করা: