পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৯৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

900 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড সুসজ্জিত মঞ্চের ওপর কংগ্রেস সভাপতি শ্ৰী ডি সঞ্জীবায়া, প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী শ্ৰী গজীবন রাম, উমাশঙ্কর দীক্ষিত, যশোবন্তরাও চ্যাবন, ব্ৰক্ষ্মনান্দ রেডডি এবং মোহনলাল সুখাড়িয়া সমেত ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা উপবিষ্ট ছিলেন। মঞ্চের পিছন দিকের প্রাচীরে পুষ্পশোভিত মহাত্মা গান্ধীর ছবির দুপাশে দুই প্রাক্তন নেতা পরলোকগত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও লালবাহাদুর শাস্ত্রীর ছবি রাখা হয়। সাগরতল থেকে ছ হাজার ফুট উচুতে সবুজ বনানীতে ঘেরা এই পার্বত্য অধিত্যকায় প্রায় দু হাজার দর্শকের উপযোগী প্যান্ডাল অধিবেশনের উদ্বোধনকালে পরিপূর্ণ ছিল। বহু দর্শক বহুক্ষণ দাড়িয়ে অধিবেশনের গতিপ্রগতি স্থির মনোযোগে লক্ষ্য করেন। বালিকার দল জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য মাইকের সামনে আসার সময়ও একদল সাধারণ ও মুভিক্যামেরাম্যান মঞ্চে সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী প্রমুখের চবি নিতে থাকেন। উদ্বোধনী সঙ্গীতের পর একটি দল চিরাচরিত পোষাক পরা হিমাচল প্রদেশের একদল যুবক ও যুবতী এই রাজ্যের সুখসৌন্দর্য বর্ণনাগীতি গেয়ে শোনান। ইউ এন আই জানাচ্ছেন, অধিবেশনের শুরুতে পরলোকগত স্বাধীনতা সংগ্রামী ডঃ সৈয়দ মাহমুদ ও বিনোদানন্দ ঝার উদ্দেশ্যে শোক প্রকাশ করা হয়। সাধারণ সচিব ডঃ শঙ্করদয়াল শৰ্মা শোক প্রস্তাব আনার পর প্রতিনিধিরা দু মিনিট শোকস্তবদ্ধতা পালন করেন। পরলোকগত সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিহারের কংগ্রেস নেতা এম পি সিংহের স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানান হয়। সভাপতির ভাষণ, অধিবেশনের উদ্বোধন করে সভাপতি শ্ৰী সঞ্জীবায়াও ভারত-রুশ চুক্তির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেণ, এই চুক্তি সত্ত্বেও আমরা আমাদের গোষ্ঠী নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে যাব। আমরা অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গেও এই ধরনের চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চাই শ্রীমতি গান্ধী যে গত মাসে নানা কাজে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া সফর করতে পেরেছেন তাতে সুফল ফলেছে। বাঙলাদেশ সম্পর্কে রুশ প্রধানমন্ত্রী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় রাজনৈতিক সমাধানের দাবী ঘোষণা করেছেন। বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে খুব ঘনিষ্ঠ প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দেশের সমস্যা সম্পর্কে শ্ৰী সঞ্জীবায়া বলেন, বন্যা নিরোধের জন্য সরকারকে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণের সমস্যার প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সজাগ করার দায়িত্ব নেবার জন্য তিনি কংগ্রেস কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।