পাতা:বাংলার গীতি কবিতা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাক্ত সাহিত্য ধারায়- রামপ্রসাদ (Y ‘কারু দুগ্ধেতে বাতাস।” আমার এগ্নি দশা শাকে অন্ন মেলে কৈ ? কারু আছে কত ধন জন, হস্তি অশ্ব রথচয় ওগো তারা কি তোর বাপের ঠাকুর, আমি কি তোর কেহ নাই ? জগজননীর নিকট এই স্নেহের অভিমান ; আর এমন প্ৰাণস্পর্শী সরল শিশুর কণ্ঠে তাহার প্রকাশ বাঙ্গালার গীতি কবিতার এক অমূল্য সম্পদ। একদিকে সাংসারিক অসচ্ছলতা, আর একদিকে কৃষ্ণচন্দ্রের রাজানুগ্রহের প্রবল মোহ--রাম প্ৰসাদ সাধনের প্রথম অবস্থায় এই পরীক্ষার মধ্যে পতিত হইয়া প্রথমেই মনকে বুঝাইলেন-মন গোসা করে না,-অনিত্য সুখ কিছু নয়। একদিকে মনকে এইরূপ বুঝাইতেছেন—আর একদিকে-জগজননীর নিকট অভিমান আব্দার এমন কি স্নেহমাখা তীব্ৰ মধুর ভৎসনা করিতেছেন। সাধকের জীবনের এই অবস্থা কল্পকলায় কি সুন্দর ফুটিয়া উঠিয়াছে। কি শাক্ত, কি বৈষ্ণব, নাম জপ বলিয়া একটা আবহমান কালের সাধন পদ্ধতি অষ্টাদশ শতাব্দীর বাঙ্গালাও ভুলিতে পারে - নাই। রামপ্ৰসাদের সাধক জীবনে, ও সেই সাধক জীবনের যে রূপ ও সুর তঁহার গানে রূপান্তরিত হইয়াছে সেই প্ৰসাদী গানে, নাম জপের বহু নিদর্শন আমরা পাই । রামপ্ৰসাদ সাধনের নানা অবস্থার মধ্য দিয়া অগ্রসর হইবার পথে নানা ভাবে এই নাম-জপকে অবলম্বন করিয়াছেন । এই নামজপের