পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ4:. আগমনী । সুরটমল্লার। অড়াঠেকা । কলাস সংবুদ শুনে, মরি হে পরাণে । কি কর হে গিরিলর, যাও যাও এস জেনে । সুখে রাখিতে সংসার, উমা প্রতি দিয়ে ভার, সার করি’ যোগাচার, শিব নাকি আছেন শ্মশানে । যোগাচারী হেরে হরে, সকলেতে যোগ করে, শিবের বৈভব হ'রে ল’য়ে গেছে স্থানে স্থানে ; (ঐ দেখ) শশী গগনমণ্ডলে, সুরধুনী ধরাতলে, ফণীগণ গেছে পাতালে, অনল নিবিড় বনে। শিবের স্বভাব দেখিয়ে, ভেবে ভেবে কালী হ’য়ে, উমা আমার রাজার মেয়ে, পাগলিনী অভিমানে, সেজে বিপরীত সাজ, বিরাজে ত্যজিয়ে লাজ, কি শুনি দারুণ কাজ, মাতিয়ছে সুধাপানে ॥ বেহ,গ-একতাe 1 । কে রে বাম, বারিদ-বরণী, তরুণী, ভালে, ধরেছে তরণি, কাহারো ঘরণী, আসিয়ে ধরণী, করিছে দনুজ জন্ম। হের হে ভূপ, কি অপরূপ, অনুরূপ নাহি স্বরূপ, মদন নিধন করণ কারণ, চ:ণ শরণ লয় ॥ বাম হাসিছে ভাসিছে, লাজ না বাসিছে, হুহুঙ্কার রবে বিপক্ষ নাশিছে, গ্রাসিছে বারণ হয়। বামা, টলিছে ঢলিছে, লাবণ্য গলিছে, সম্বনে বলিছে, গগনে চলিছে, কোপেতে জ্বলিছে, দনুজ দলিছে, ছলিছে ভুবনময় ॥ কে রে ললিত রসন, বিকট দশনা, করিয়ে ঘোষণা, প্রকাশে বাসনা, হয়ে শবাসন, আসবে মগনা রয় ॥ বেহাগ—আড়াঠেকা । বল গিরি এ দেহে, কি প্রাণ রহে আর । মজলার না পেয়ে, মঙ্গল সমাচার ॥ দিবানিশি শোকে সারা, না হেরিয়া প্রণতার, বৃথা এই আঁধিতার, সব অন্ধকার। | বাঙ্গালীর গান । খেদে ভেদ হয় মৰ্ম্ম, মিছে করি গৃহে কৰ্ম্ম, মিছে এ সংসার ধৰ্ম্ম, সকলি অসার। তুমি ত অচল পতি, বল কি হইবে গতি, ভিক্ষা করে ভগবতী, কুমারী অমর। বঁচি বল কর বলে, দুখনলে মন জ্বলে, ডুবিল জলধি-জলে, প্রাণের কুমার। ত্ৰিজগতে নাহি অন্তে, একমাত্র সেই কন্তে, না ভাল তাহার জন্যে তুমি একবার। . - 1 | ওহে গিরি, কেমন কেমন কেমন করে প্রাণ । এমন মেয়ে, কারে দিয়ে হয়েছ পাষাণ ॥ ননীর পুতলি তারা, রবিকরে হয় সারা । নিযুত নয়নে ধর, মলিন বয়ান । বরেতে সতিনী-জাল, সদা করে ঝালাপাল, হয়ে উম রাজবালা, কিসে পাবে ত্ৰাণ ৷ শিরে যুবতরঙ্গিণী, হয়ে শিল সোহাগিনী, করি কল কল ধ্বনি, করে অপমান। সারাদিন ঘরে ঘরে, ভোলানাথ ভিক্ষা করে, যথা কালে খায় হ’লে, দিবা অবসান ৷ তাহে কি উদর ভরে, পেটের জ্বালায় মরে, সন্ধ্যাকালে বসে করে সিদ্ধিরস পান । ভাল মন্দ নাহি চায়, সুখ দুখ ঠেলে পায়, ধুতুরার ফল খায়, অমৃত সমান। শ্ৰীফল পাইলে হায়, আর তারে কেবা পায়, মহানন্দে নাচে গায়, হাজায়ে বিষাণ। ভৈরব ভরবী পেয়ে. ফেরে সদা হেসে গেয়ে, আছে কি না ছেলে মেয়ে, রাখে না সন্ধান ॥ নাহি মানে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম, নাহি করে কেন কৰ্ম্ম, নিজ ভাবে নিজ-মৰ্ম্ম, নিজে করে গান ৷ লোকে বলে মহযোণী, অথচ বিষয়ভোগী, সমভাবে যোগভোগ, করে সমাধান ॥ বসন ভূষণ ধন, করিয়াছি আয়োজন, কর কর নৃপধন, কৈলাসে প্রয়াণ । দুর্গানামে যাবে ভয়, তাহে কি বিপদ হয়, আন আন হিমালয়, ঈশনী ঈশান ॥