পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

俊冷 বামুনের ময়ে সযত্নে মুছাইয়া দিয়া করুণ-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, আবার বাবা কি আজ কিছু করেচেন মা ? জগদ্ধাত্রী শুধু বলিলেন, না । মেয়ে তাহী বিশ্বাস করিল না । আস্তে আস্তে জননীর পাশে বসিয়া কহিল, সংসারে সব জিনিষ মানুষের মনের মত হয় না মা । সবাই ত আমার বাবাকে পাগলা ঠাকুর বলে ডাকে, তুমিও কেন তাকে তাই মনে ভাবে না ? জগদ্ধাত্রী কহিলেন, তারা ভাবতে পারে তাদের কোন লাকসান নেই –কিন্তু আমার মত কাউকে ত জ্বালা পোহাতে হয় না সন্ধ্যে। এই জ্বালা যে কি এবং তাহার জন্ত কাহাকে যে কোথায় যন্ত্রণা সহ্য করিতে হয়, ইহা সে কোনদিন ভাবিয়া পাইত না, আজও পাইল না এবং এই তাহার নিরীহ,নিবিরোধ, পরদুঃখকাতর, অল্পবুদ্ধি পিতার দুঃখে তাহার চিত্ত স্নেহ ও সমবেদনায় পরিপূর্ণ হইয়। চোখ ছুটি ছল ছল করিয়া আসিল , কহিল, আমার যদি সাধ্য থাকত মা, তা হলে বাবাকে নিয়ে আমি বনে-জঙ্গলে পাহাড়-পৰ্ব্বতে এমন কোথাও চলে যেতেম, পৃথিবীর কাউকে তার জন্তে জ্বালা সইতে হ’তে না । g জগদ্ধাত্রী তাহার কন্যার চিবুক হইতে তাড়াতাড়ি হাত দিয়া চুম্বন গ্রহণ করিয়া সস্নেহে বলিলেন, বালাই ষাট ! কিন্তু আমি যেন তোর সৎমা । তার অৰ্দ্ধেকও তুই যদি আমাকে ভালবাসতিস সন্ধ্যে ? সন্ধ্যা কহিল, তোমাকে কি ভালবাসিনে মা ? মা বলিলেন, কিন্তু তার কাছে তোর যেন সারা প্রাণটা পড়ে আছে—পায়ে কাকরটি না ফোটে এমনি তোর ভাপ • তুই বেশ জানিস্তার ওষুধে কিছু হয় না, তবু তুই প্রাণটা দিতে বসেচিস্, لها