পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । ছেন । বিশ্বমধ্যে কত মহা মহা প্ৰকাণ্ড পদৰ্থ বৰ্ত্ত মান আছে, মনুষ্যের দুর্বল হস্ত কখনই তাহার দাৰুণ শক্তি অতিক্রম করিতে সমর্থ হয় না, কিন্তু কৰুণাকর বিশ্বকৰ্ত্তা তৎসমুদয় প্লাহার আবশ্যক মত আয়ত করিয়া দিয়াছেন। তিনি আমাদিগের পদতলস্থ । ভূমিতে সস্থত প্রকার উৎপাদিকা শক্তি সমৰ্পণ করি য়াছেন, বুদ্ধিবৃত্তি চালনদ্বারা তাহার গুণ জামিয়া কৰ্ষণ করিলই প্রচুর ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়। পৰ্বত গুছা হইতে নদী সমুদায় নিঃসারণ করিয়াছেন, তরণী সহকারে তাহ রাজপথস্বরূপ করিয়া পদব্রজের ক্রান্তি । হইতে নিস্তার পাওয়া যায়, ও প্রয়োজনানুসারে তাহার প্রবাহ পরিবর্তন করিয়া মুখ স্বচ্ছন্দতা বৃদ্ধি করা যায়। যে দুর্গম মহাসিন্ধু-গর্ভে তাবনীর অর্ধভাগ নিমগ্ন রহিয়াছে, তাগাতেও সমুদ্রপোত সস্তারিত । করির সুগম পথ প্রস্তুত করা যাইতেছে। আর জগ দীশ্বর আমা দিগেরই হিতের নিমিত্ত আমাদিগকে যে পদার্থের শক্তি অতিক্রম বা আয়ত্ত করিবার ক্ষমতা। প্রদান করেন নাই, তাহার স্বভাব জানিয়া তধনুযায়ী কাৰ্য্য ক রিবার উপায় জ্ঞান দিয়াছেন । যদিও মৰু য্যের এীখতাপ ও প্রবল ঝটিকাদি নিবায়ণ করিয়া। মনঃকম্পিত চিরব্যস্ত-মুখ । সম্ভোগ নিমিত্ত সূর্যের গতি রোধ করিবার শক্তি নাই তথাপি তিনি সলিল সেবিত গৃহচ্ছায়াতে অবস্থিতি করিয়া ও ঝাটিকাদির পূর্ব লক্ষণ সকল উপলৰিপূৰক সাবধান হুইয়া নিরা পদ ও নিৎকণ্ঠ হতে পারেন। যৎকালে বাতি