পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপ ক্রমণিকা । নিয়ম নিরূপণ পূৰ্বক সুনিপুণরূপে শিম্পাদি শাস্ত্রের উৎকৃষ্টরপ অনুশীলন নাকরাস্ত্রীদিগের মূর্ধত, ও পুৰুষদিগের সুচাৰুরূপ শিক্ষা লাভ না হওয়া, এই সমস্ত' কারণে আমাদিগের দেশীয় লোকের যে প্রকার দুর্দশা ঘটিয়াছে, তাই মনে করিতে হইলে অনর্গল অষ্টপাত হয় । পরমেশ্বর আমাদিগের হিতার্থে ই দুঃখ যোজনা করিয়াছেন, কিন্তু আমরা প্লাহার অভিপ্রেত কাৰ্য্য না করিয়া ছঃখই ভোগ করিতেছি। এখনও আমা দিগের বোধোদয় হইলে তাহার কৰুণা গুণে এই দুঃখ রূপ কণ্টকীবৃক্ষ হইতে শুভ ফল উৎপন্ন হয়। Kাহাদিগের ধৰ্ম্মেতে শ্ৰদ্ধা আছেও ঈশ্বরেতে প্রীতি আছেঙাহারা, যাহ সেই পরমারাধ্য পরমেশ্বরের নিয়ম বলিয়া জানি লেন, তাহ প্রতিপালন করিতে যত্ন ন করিয়া কি প্রকারে নিশ্চিন্ত থাকিতে পারেন ? র্যাহারা শাস্ত্ৰোক্ত বৈধাবৈধ কর্মের উপদেশের আবশ্যকতা বোধ করেন, জগদীশ্বরের সাক্ষাৎ প্রণীত পরম শাস্ত্র স্বরপ যে এই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান জগৎ, তাহার নিয়ম অভ্যাস ও তদনুযায়ী ব্যবহারে একান্ত যত্ন না করা কি তাহাদিগের উচিত! যদি বল, এ সমস্ত বিবরণ ঐহিক ভোগ ভোগের বিষয়েই লিখিত হইল । যাহার। ঐহিক ভোগ কামনা না করেন, প্তাহাদিগের এত নিয়মানিয়ম বিচারে প্রয়োজন কি ? কিন্তু ঢাহারা ধৰ্মোপদেশ ও ধর্মানুষ্ঠান অবশ্য কৰ্ত্তব্য বলিয়া জানেন, আর ইহাও ঢাঁহাদের বিদিত থাকিতে পারে, র্যাহার মানসিক প্রকৃতি যত । উৎকৃষ্ট, তিনি উপদেশ এহণ করিতে তত সমৰ্থ । বিদ