পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । ২৮ বুদ্ধিশালী ব্যক্তি ঈশ্বরের স্বরূপ ও অভিপ্রায় বিষয়ের জ্ঞান লাভে যেরপ সমৰ্থ, মুস্থ ব্যক্তি সে প্রকার কখনই নহে। যাহার প্রবল ভক্তিভাব অাছে, সে ব্যক্তি যেরপ ডক্তিবিষয়ক উপদেশ আশু গ্রহণ করিয়া পরমেশ্বরের প্রগাঢ় প্রতিতে মগ্ন হয়, অন্য ব্যক্তি তদ্রুপ কখনই হয় ' না । যাহার অত্যন্ত দয়াম্বভাব, দয়াবিষয়ক উপদেশ তাহার যেরূপ হৃদয়ঙ্গম হয়, ও তদনুষ্ঠানে তাহার যাদৃশ অনুরাগ জমে, অন্ত ব্যক্তির তাদৃশ কখনই হয় না। পরম্ভ অামাদিগের এই সমস্ত গুণের উন্নতি নিমিত্ত কতকগুলি শারীরিক ও মানসিক নিয়ম প্রতিপালন করা আবশ্যক, তহ্যতিরেকে ধর্মোপদেশের পূর্ণ ফল উৎপন্ন হওয়া কোন ক্রমেই সস্তাবিত নহে । যদি বুদ্ধিবৃত্তি ও দয়া ভক্তি প্রভৃতি ধর্মপ্রবৃত্তি স্বভাবতঃ বলবতী না ধাকাতে, কেছ গুরুপদেশ গ্রহণ করিতে অসমর্থ হয়, তাহা হইলে কি উপায়ে তাহার মানসিক বৃত্তি সমুদায়ের উন্নতি হইতে পারে, তাহার অনুসন্ধান কর। অমাবশ্বক নহে। যদি অন্ন বস্ত্রের ক্লেশ, অস্বাস্থ্যদায়ক দ্রব্য ভক্ষণ কুস্থানে বাস, দীর্ঘ-কাল-ব্যাপী ক্লাস্তিকর পরিশ্রম ইত্যাদি কারণে অন্তকরণের উৎকৃষ্ট বৃতি সকস নিস্তেজ হয়, সুতরাং পরমেশ্বরের স্বরূপ-জ্ঞান ও প্রগাঢ় উক্তি শুদ্ধাদি উদয় হইবার ব্যাঘাত জন্মে, তবে ঐ সমস্ত ধৰ্মকন্টক স্থোনাং তদ্বিষয়ক কার্যকারণ নিরূপণ করা উপেক্ষার বিষয় নহে । কোন দেশীয় ও কোন জাতীয় ধর্মোপদেশকেরা কোন কালে এ সকল অতিপ্রায় গ্রহণ করেন নাই সুতরাং