পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sමෙ8 ] ঘটনা তাহদের অগোচরে বহুদূর হইতে এয়ারোপ্লেনের সাহায্যে প্ৰত্যক্ষ করিতে পারা, রাত্রের অন্ধকারে তাহদের আক্রমণের চেষ্টা হইতে সতর্ক হওয়া ইত্যাদি নানারূপে কাজে আসিবে । শান্তির সময়েও কুয়াশার মধ্যে জাহাজ বা বিমানপোত পরিচালনা ও অন্যান্য অনেক উপায়ে ইহা অনেক সুবিধা ख्ाकाम्रन कहिद । এই ৩৭ বৎসর বয়স্ক যুবকের নিকট বিজ্ঞান জগত আরও অনেক আশা করেন। আরও অনেক সত্যের সন্ধান আনিয়া দিয়া তিনি মানব জাতির প্রভূত কল্যাণ সাধনে কৃতকাৰ্য্য হইবেন। শ্ৰী অনাথিনাথ ঘোষ भझडूभि মধ্য ভারতের পর্বতমালা ও সমতল বাংলাদেশের মধ্যস্থ সমুদয় ভূখণ্ড ভারতের মধ্যযুগে বিশেষ প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। বাঁকুড়ার সেই সময়ের রাজধানী বিষ্ণুপুরের রাজাগণই মল্লভূমে প্ৰভুত্ব করিতেন। ভারতে মুসলমান আক্রমণ ও মোগল শক্তির অভু্যুত্থানের মধ্যবৰ্ত্তী যুগে মল্লরাজগণের কৃতিত্ব সম্বন্ধে মিষ্টার জে, সি, ফ্রেঞ্চ বিলাত হইতে প্ৰকাশিত “ইণ্ডিয়ান আট এণ্ড লেটাসে” নিম্ন লিখিত কাহিনী সংগ্ৰহ করিয়া দিয়াছেন । সেই সময়ে লউ গ্রামে এক ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত বাস করিতেন। সংস্কৃত ভাষায় ও জ্যোতিষ শাস্ত্রে তার অসামান্য বুৎপত্তি ছিল। একদিন তিনি অধ্যাপনা কাৰ্য্যে ব্যস্ত ছিলেন এমন সময়ে সপরিবারে এক অতিথি আসিয়া উপস্থিত। অতিথি পরিচয় দেন। জয়পুরের শৌহান বংশের এক রাজপুত, তীর্থ ভ্ৰমণে তাহারা বাহির হইয়াছেন। অতিথির স্ত্রী সেই রাত্রে এক পুত্ৰ সন্তান প্রসব করেন এবং প্রসবের অব্যবহিত পরেই তাহার মৃত্যু হয়। নবজাত শিশুর পিতা ইতিমধ্যে কোথায় চলিয়া গিয়াছেন, তাহাকে কোথাও খুজিয়া পাওয়া গেল না।

  • ব্ৰাহ্মণ তখন শিশুর ভাগ্যগনণা করিয়া দেখেন যে সে ভবিষ্যতে রাজা হইবে। ব্ৰাহ্মণ তাহাকে গোপাল বলিয়া

विदिक्ष ज९९१jह मझइथि Sv98 ডাকিতেন। পণ্ডিতের গৃহেই গোপাল বড় হইতে লাগিল। পণ্ডিত তাহার শিক্ষার ব্যবস্থা করিলেন । ব্যায়াম অভ্যা সেরও ব্যবস্থা হইল। একদিন গোপাল গোচারণে গেছে, ক্লান্ত হইয়া এক গাছের নিচে সে ঘুমাইয়া পড়ে সেই সময়ে এক বিষধর সাপ গোপালের মাথার উপর তার ফণা বিস্তার করিয়া তাহাকে ছায়া দান করিয়াছিল। আর একদিন গোপাল তার সহচরীগণ সহ মাছ ধরিতে যায়। সঙ্গীদের ছিপে মাছ উঠিতে লাগিল। কিন্তু গোপালের ছিপে পাথরের নুড়ি ভিন্ন কিছুই উঠিল না। নুড়িগুলি বাড়িতে আনিলে পণ্ডিত দেখেন সেগুলি এক এক হীরক খণ্ড । বালক যখন দ্বাদশ বর্ষে পদাৰ্পণ করে পণ্ডিত তখন তাহাকে শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করাইতে আরম্ভ করিলেন। শীঘ্রইট ব্যাকরণ ও ন্যায়-শাস্ত্রে সে বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করিল। পণ্ডিতের সহিত গোপাল একদিন রাজ সন্দর্শনে যায়, রৌদ্র হইতে রক্ষা করিবার জন্য রাজা স্বয়ং তাহার মাথায় ছাতা খুলিয়া ধরেন। ব্ৰাহ্মণ বুঝিলেন ভবিষ্যতে রাজা হইবার ইহা আর এক লক্ষণ । বালক ক্রমশঃ বিশেষ শক্তিশালী যুৱায় পরিণত হইয়৷ উঠিল। এক ডাকাতদের দলে মিশিয়া তাহদের দলপতির স্থান অধিকার করিয়া বসিল এবং নিকটবৰ্ত্তী গ্রাম সমুহে বিশেষ ভীতির কারণ হইয়া উঠিল। রাজা গোপালকে ধরিবার নানা চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়া ক্রোধবশতঃ তখন পণ্ডিতকে বন্দী করিলেন। গোপাল প্ৰতিজ্ঞা করিল। যেমন করিয়া হউক ব্ৰাহ্মণকে রক্ষা করিতে হইবে। এই উদ্দেশ্যে সে সাঁওতালদের সাহায্য প্রার্থনা করিল। তাহা, দের সাহায্যে সে রাজাকে আক্রমণ করে, রাজা তখন ভয়ে নিরুপায় হইয়া নিকটস্থ এক পুষ্করিণীতে লাফাইয়া পড়িয়া দেহত্যাগ করে। গোপাল পুষ্করিণী হইতে রাজার মৃতদেহ উদ্ধার করিয়া তাহার সৎকারের ব্যবস্থা করিল, রাণী তখন রাজার চিতায় আরোহণ করিয়া সহমরণ করেন। গোপাল রাজকন্যার পাণিগ্রহণ করিয়া রাজা হইলেন। তখন তাহার নাম হইল “আদিমল্ল”। তাহার পর তাহার বংশধরগণ রাজত্ব করেন ।