পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOOs ) গোলাপের কথা S8% এস ওয়াজেদ আলি Squ D SDD BDS DD D LSDDB পায়ে পড়ি, আমায় এখান থেকে সরিও না । আমাকেও যে একজন ভালবাসে । আমায় দেখতে না পেলে সে কেঁদে কেঁদে মরে যাবে”-বলতে বলতে করুণ নেত্ৰে গোলাপ সেই নিষ্ঠুর প্রেমিকের দিকে চাইলে। সে কিন্তু ফুলের সে ভাষা বুঝলো না। তিল মাত্র ইতস্ততঃ না করে গোলাপাটীকে ডাল থেকে ভেঙ্গে সে তার গুলদাস্তার সামিল করলে । গুলদাস্তাটি মাণ্ডকের সামনে পেশ করে কোমল মধুর। দৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে প্রেমিক বললে, “প্রেয়সি! সদ্য ফোটা এই গোলাপটি দেখে তোমার টুকটুকে মুখখানির কথা আমার মনে পড়ছিল। এটিকেও তাই গুলদাস্তার সামিল করে তোমার জন্য নিয়ে এসেছি। ফুলের এ সৌন্দৰ্য্য একদিন বই থাকবে না ; আমার ভালবাসা কিন্তু অনন্তকাল এই ফুলের মতই ফুটে থাকবে।” মাশুক বললে, “কি বললে, প্ৰিয়, অনন্তকাল ? হায় -দুদিন পরেই তুমি আমায় ভুলে যাবে! নূতন মাশুককে তখন নুতন গুলদাস্ত উপহার দেবে! আমার কথা তখন তোমার মনেও থাকবে না ।” আবেগ বিগলিত কণ্ঠে প্রেমিক বললে, “ছি প্রেয়সি । আমায় তুমি এমন অপদাৰ্থ মনে কর। তুমি ছাড়া জীবনে আমি কাউকে কখনও ভালবাসিনি, আর বাসবোও না। আমার অন্তর আমায় বলছে, তোমায় ভালবাসবার জন্যই আল্লা আমায় সৃষ্টি করেছেন, আর আমায় ভালবাসবার জন্য তোমায় সৃষ্টি করেছেন। অনন্তকাল ধরে আমার অন্তরের সমস্ত ভালবাসা দিয়ে তোমায় আমি ভালবাসবো । তোমারই মোহিনী মূৰ্ত্তি জন্ম-জন্মান্তরে আমার হৃদয়পটে বিরাজ করবে। আর কারও সেখানে কখনও স্থান হবে না ।” ঘন কম্পমান সুরভি নিশ্বাসে প্রেমিকের প্রাণে আনন্দের এক অবর্ণনীয় হিল্লোল তুলে মাণ্ডক তার ওষ্ঠাধরে চুম্বন রেখা অঙ্কিত করে বললে, “প্রিয়তম, অনন্তকাল ধরে তোমায় আমি ভালবাসবো-আমার অন্তরের সমস্ত ङाँगबांगा बि फूरेि चांगांब्र शाब्र एक्षांख अौदंब्र হয়ে থাকবে । আর কারও কথা কখনও স্বপ্নেও আমি মনে আনবো না।” হৃদয়ের আবেগে প্ৰেমিক দুই বাহু দিয়ে মাশুককে তার বুকের মধ্যে চেপে ধরলে। আপন মনে গোলাপ বললে, “হায়, আমাদের ভালবাসাও ঠিক এই রকমই ছিল! কিন্তু নিয়তির কি নিষ্ঠুর বিধান! আমার প্রাণের বুলবুলের সঙ্গে এ জন্মে আর দেখা হবে না ! মৃত্যুর পর, হে আল্লা, আবার যেন তাকে দেখতে পাই।” দুঃখের ভারে, গোলাপের মাথা নুয়ে পড়লো । প্ৰেমিক বললে, “আহা গোলাপটী নুয়ে পড়েছে। ওকে আলাদা একটি ফুলদানিতে রেখে দেও, না হলে বেচারা শুকিয়ে যাবে।” আনন্দের বিচিত্র তরঙ্গ তুলে সুন্দরী সেই পুষ্পগুচ্ছ নিয়ে তার শয়নাগারে চলে গেল, আর সযত্নে গোলাপাটীকে একটি সুন্দর ফুলদানীতে সাজিয়ে জানালার পাশে রেখে দিলে। গোলাপ বেচারা বাগানের দিকে চেয়ে ব্যথাতুর মনে তার বুলবুলের কথাই ভাবতে লাগলো। সুৰ্য্য ধীরে ধীরে অস্তাচলে গেলেন। রাত্রির অন্ধকার এসে সমস্ত বাগানের উপর তার কালো পর্দা বিছিয়ে দিলে। বিরহ-বিধুর গোলাপ অশ্রুসজল চোখে সেই ফুলদানিতে ঘুমিয়ে পড়ল। তার প্রণয়ীর সঙ্গে সেদিন আর তার দেখা হলো না । যখন সকাল হ’ল,- গোলাপের পাপড়িগুলি তখন শুকিয়ে আসছিল । মৃত্যুর তন্ত্রায় उांद्र शई c5ांश bल 5ण করছিল। সেই অন্তিম তন্ত্রার ঘোরে এক এক বার vis LBB BD DDD D TGGLDL BB BDuYS ছিল। বেদন-বিধুর কণ্ঠে সে ডাকছিল, “হে, আল্লা, মরণের আগে একবার যেন তাকে দেখতে পাই! আমার এই শেষ প্রার্থনা তুমি পূর্ণ করো, দয়াময়!” তরুণ সুৰ্য্যের অরণ রাগে বাগান যখন জ্বলজ্বল করে উঠলো, প্ৰকৃতির মুখে যখন নূতন জীবনের নূতন হাসি দেখা দিলে, মুমূর্ষু গোলাপটিও তখন ক্ষণেকের জন্য নূতন আশায়, নূতন আকাঙ্ক্ষায়, সজীবিত হল। ব্যগ্র উৎসুক নয়নে সে বাগানের দিকে চাইলে-তার প্ৰেমাস্পদকে দেখবার 丐!