পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

می\ډS দেখিতে পাই যে বহু দূৱ পৰ্যন্ত বনানী একপ্রকার অদৃশু হইয়া গিয়াছে ৮-বরঞ্চ হাজারিবাগের মালভূমি অপেক্ষাকৃত অধিক জঙ্গলাকীর্ণ। ডিট্ৰিক্ট বোডের পথিপাৰ্থস্থ স্মারক পাষাণলিপি যেখানে পথিককে বলিয়া দিতেছে যে রচির সীমানা শেষ হইল এবং সিংস্কৃভূমে প্ৰবেশ করা গেল, সেইখানেই গাছপালার তারতম্য সহজেই বুঝিতে পারা যায়। আবার সিংস্কৃভূম, মানভূম, হাজারিবাগ ও রাচিতে একই YDB DS S BEBDB BLBL BKLL DSSYqSDS DDDS কুসুম, পলাশ, কেঁদ, খিদির, করঞ্জ, আমলকি, হরিতকি, বট, অশ্বথ, শিমুল, কাঞ্চন, আশান, জাম, বঁাশ, শিশু, বেল, কুর্চি, কুল, ডুমুর, তেঁতুল, বকেন ইত্যাদি। এতদ্ব্যতীত বন্ধুর প্ৰান্তরে ছোট বড় লতাগুন্মের ঝোপ এবং জলাভূমিতে লম্বা DBBD DB BB BDD D gD DDDDuDBBD DDBD DDD করিতেছে। এই প্ৰাকৃতিক আবেষ্টনের প্রতি লক্ষ্য না করিলে পাখীর কাহিনী বিবৃত করা চলে না। এই পাষাণকঙ্কর, গিরিশ্ৰেণী, পাদপসমূহ, জলাভূমি, কৰ্ষিত ধান্যক্ষেত্র, পৰ্বতসানুদেশে উপলব্যথিত গতি স্রোতস্বিনী, বঁাধের জলরেখা-মালভূমির এই বিশাল পটভূমিকায় রাঁচির পাখীর ছবি যেমন ফুটিয়া উঠিয়াছে, তেমন আর কিছুতে সম্ভবপর হইত না। বাংলার পৌরজন শুমা, হরেওয়া, পাপিয়াকে খাচার পাখী বলিয়া জানে, গৃহপালিত ময়ুরের সহিত স্নেহসুত্রে আবদ্ধ হয় ;-কিন্তু এই শুষ্ঠামা, ময়ুর, হরেওয়াকে প্ৰকৃতির মুক্তিপ্রাঙ্গনে দেখিতে হইলে রাচি মালভূমির চুটুপালু, ইচাডাক, রাজাডোরা, জোনা অথবা সিংহুমের টেবো হিসাডি বা হাজারিবাগের প্রত্যন্তবত্তী বনানীগুলির মধ্যে এবং পালামাউ সান্নিধ্যবৰ্ত্তী কুরু-চাঁদোয়ার জঙ্গলে বিচরণ कब्र खोदधक । এইখানে একটু বলিবার আছে। সিংস্কৃভূমের বনের বিশিষ্টতার উল্লেখ পুর্বে করিয়াছি; কিন্তু প্ৰসঙ্গক্রমে বলা আবশ্যক যে সেখানকার জঙ্গলে যেখানে যে অবস্থায় বিশেষ বিশেষ পাখীর অবস্থান দেখিয়াছি, অন্যত্র তাহার কিছু কিছু বৈপরীত্য উপলব্ধি করিতে হইয়াছে। মনে করুন টেবোহিসাডির উপর দিয়া ঘুরিয়া ফিরিয়া মোটরপথ চাইবাসা <බුවේ [ মাঘ নিয়ে খরস্রোতা নদী ; পরপারে ঘন বন গিরিগাত্রে আচ্ছাদিত করিয়া বিরাজমান ; মধ্যে মধ্যে কাচিৎ ধান্তক্ষেত্র বা কুটীয় দৃষ্টিগোচর হয়। এই শালবনের একেবারে প্রান্তসীমায় বিস্তৃত রাজপথের অতিসন্নিকটে শালতারুশিরে হারওয়া শুষ্ঠামার অপুৰ্ব্ব সন্মিলন-সঙ্গীতোছাসে দিগন্ত মুখরিত হয়। রাচি মালভূমের রাজাডের অঞ্চলে ঘন জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড় ; পাদদেশে পার্বত্য নদী ; নদীর এ পারে সামান্য জঙ্গল ও নাতিউচ্চ পাষাণন্ত প। বিস্তৃত দীর্ঘবিসৰ্পিত রাজপথ টেবোহিসাডির মত গিরি শ্রেণীর এই অংশে নাই ; সেখানকার মত নয়নমুগ্ধকর নিরবচ্ছিন্ন শালবন স্থানে স্থানে থাকিলেও নদীর উভয় তীরের অতি সন্নিকটে ছোট বড় নানা বৃক্ষে, ঝোপের মধ্যে শুষ্ঠামাকে সঞ্চরণ করিতে দেখিতে পাই ;- আর রাচি-পুরুলিয়া রাস্তার উভয় পার্থে বিস্তৃত বন্ধুর প্ৰান্তরে বৃক্ষপত্রমধ্যে হরেওয়া নিশ্চিন্তমনে আত্মগোপন করিয়া থাকে। কিন্তু ইচাডাকের জঙ্গলে ঠিক টেবোহিসাডির মত ঘন শালবনের ধারে স্বচ্ছন্দমনে শুষ্ঠামা বিচরণ করে । आश्रनालब्र 8श्यgडि श्टडtछ कि ना आनि ना ; কিন্তু কখন কোথায় কি” অবস্থায় কোন পাখী বৃক্ষশাখায় বাসযষ্টি অবলম্বন করিয়া দিব্যাবসানে অবস্থান করে, এবং প্ৰাতে ও মধ্যাহেৰ কোথায় কি ভাবে তাহার জীবননাট্য লীলায়িত হয়, তাহা লক্ষ্য করা আমাদের একটি প্ৰধান কাজ । বড় করিয়া দেখিলে পাশ্চাত্য পণ্ডিত ইহাকে Distribution আখ্যা দিয়া থাকেন। আমরা যদি তাহাদের কথা অভ্ৰান্ত বেদবাক্য বলিয়া মানিয়া লই, তাহা হইলে হয়ত সব গোল চুকিয়া যায় ; কিন্তু পক্ষিবিজ্ঞানের কঠোর তর্জনী-সঙ্কেতে আমরা গতানুগতিকের মত স্রোতে গা ঢালিয়া দিতে অসমর্থ হইয়া সহসা এমন প্রশ্ন করিয়া বসি যে, তাহার সদুত্তর পাইতে হইলে নিজে সতর্ক অনুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত হওয়া নিতান্ত আবশ্যক হইয়া পড়ে। প্ৰত্যেক অনুসন্ধিৎসুকে ঠেকিয়া শিখিতে হয়। কয়েকজন পাশ্চাত্য মনীষী এ দেশের Avifauna সম্বন্ধে কিছু কিছু গবেষণা করিয়া গিয়াছেন ; তাহাদের একাগ্রতা ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসায় চমৎকৃত অভিমুখে নামিয়া গিয়াছে। পথের দুই ধারে ঘন শালবন ; হইতে হয় ; কিন্তু ব্যক্তিগত পরীক্ষণের ফলে বুঝিতে পার