পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOO8 ভানুসিংহের পত্রাবলী Ro वैब्रौवनाथ *ांकूत्र ব’লে এখনো ঘাটে মোটর নামাতে পারেনি। এদিকে ক’রে পাহাড়ে নিয়ে যাবে ; সে গাড়িখানা আর একজন বলে, দুটোর পরে মোটর ছাড়তে দেয় না। অনেক বকাবাকি দাপাদাপি দুটোছুটি হাঁকডাক ক’রে বেলা আড়াইটের সময় গাড়ি এল। কিন্তু সময় গেল। তীরের কাছে একটা শূন্য জাহাজ বাধা ছিল, সেইটোতে উঠে মুটের সাহায্যে কয়েক বালতি ব্ৰহ্মপুত্রের জল তুলিয়ে আনা গেল ; -জ্ঞান করবার ইচ্ছা। ভূগোলে পড়া গেছে পৃথিবীর তিন ভাগ জল একভাগ স্থল, কিন্তু বন্যার ব্ৰহ্মপুত্রের ঘোলা স্রোতে সেদিন তিনভাগ স্থল একভাগ জল ৷ তাতে দেহস্নিগ্ধ হ’ল বটে। কিন্তু নিৰ্ম্মল হ’ল বলতে পারিনে। বোলপুর থেকে রাত্রি এগারোটার সময় হাওড়ার তীরে কাদার মধ্যে প’ড়ে যেমন গঙ্গাস্নান হ’য়েছিল, সেদিন ব্ৰহ্মপুত্রের জলে uBDDLL DBB BB S SDBD BDS L BDB S DDD আমাকে ঘাড়ে ধ’রে পুণ্যতীর্থোদকে স্নান করিয়ে দিলেন । কোথায় রাত্রি যাপন করতে হবে তারি সন্ধানে আমাদের মোটরে চড়ে গৌহাটি সহরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া গেল । কিছু দূরে গিয়ে দেখি আমাদের গাড়িটা হঠাৎ ন যযৌ ন তন্থেী। বোঝা গেল আমাদের ভাগ্যদেবতা বিনা অনুभठिटङ आशाcनन्न ७य श्रोफ्रिटङ७ 5'८ख्न बटनाछन, ठिनिहे আমাদের কলের প্রতি কটাক্ষপাত করতেই সে বিকল হয়েচে । অনেক যত্নে যখন তাকে একটা মোটর গাড়ির কারখানায় নিয়ে যাওয়া গেল। তখন সুৰ্য্যদেব অস্তমিত । কারখানার লোকেরা বললে, “আজ কিছু করা অসম্ভব, কাল চেষ্টা দেখা যাবে।” আমরা জিজ্ঞাসা করলুম, “রাত্রে আশ্ৰয় পাই কোথায় ?” তারা বললে, “ডাকবাংলায়।” ডাকবাংলায় গিয়ে দেখি সেখানে লোকের ভিড়একটিমাত্র ছোট ঘর খালি, তাতে আমাদের পাঁচজনকে পুরলে পঞ্চােত্ব সুনিশ্চিত। সেখান থেকে সন্ধান ক’রে অবশেষে গোয়ালন্দগামী ষ্টীমার ঘাটে একটা জাহাজে আশ্রয় • নেওয়া গেল। সেখানে প্ৰায় সমস্ত রাত বৌমা এবং কমলের ঘোরতর কাশি আর হাপানি। রাতটা এইরকম ইঃখে কাটুল। পরদিনে প্ৰভাতে আকাশে ঘন মেঘ ক’রে “বৃষ্টি হ’তে লাগল। কথা আছে সকাল সাড়ে সাতটার সময় মোটর কোম্পানীর একটি মোটর গাড়ি এসে আমাদেৱ বহন আর এক জায়গায় নিয়ে যাবে ব’লে ঠিক ক’রে রেখেছিল। সেখানা না পেলে দুঃখ আরো নিবিড়তার হবে তাই রথী গিয়ে নানা লোকের কাছে নানা কাকুতি মিনতি ক’রে সেটা ঠিক ক’রে এসেছেন। ভাড়া লাগবে একশো পাঁচিশ টাকা-আমাদের সেই হাতী কেনার চেয়ে বেশি। যা হোক, পৌনে আটটার সময় গাড়ি এল-তখন বৃষ্টি থেমেচে।। গাষ্ঠী ত’ বায়ুবেগে চলল, কিছুদূর গিয়ে দেখি একখানা বড় মোটরের মালগাড়ি ভগ্ন অবস্থায় পথপার্থে নিশ্চল - হুয়েআছে। পূর্বদিনে আমাদের জিনিষপত্র এবং সাধুচরণকে নিয়ে এই গাড়ি রওনা হয়েছিল ; এই পৰ্য্যন্ত এসে তিনি স্তব্ধ হয়েচেন। জিনিষ। তার মধ্যেই আছে, সাধু ভাগ্যক্রমে একটা প্যাসেঞ্জার গাড়ি পেয়ে চ’লে গেছে। জিনিষ রইল পড়ে, আমরা এগিয়ে চললুম। বিদেশে, বিশেষত শীতের দেশে, জিনিষে মানুষে বিচ্ছেদ সুখকর নয়। সইতে হ’ল। যা হোক, শিলং পাহাড়ে এসে দেখি পাহাড়টা ঠিক আছে ; আমাদের গ্ৰহবৈগুণ্যে বীকেনি, চোরেনি, ন’ড়ে যায়নি; আমাদের জিওগ্রাফিতে তার যেখানে স্থান ঠিক সেই জায়গাটাতে সে স্থির দাড়িয়ে আছে। দেখে আশ্চৰ্য্য বোধ হ’ল, এখনো পাহাড়টা ঠিক আছে; তাই তোমাকে চিঠি লিখচি, কিন্তু আর বেশি লিখলে ডাক পাওয়া যাবে না। অতএব ইতি-কৃষ্ণা তৃতীয়া, ১৩২৬৷৷ OI ক্ৰক্সাইড ३ि আমি যেদিন এখানে এসে পৌঁছলুম সেদিন থেকেই বৃষ্টি বাদলা কেটে গিয়েচে । আজ এই সকালে উজ্জ্বল রৌদ্রালোকে চারিদিক প্ৰসন্ন ; মোটা মোটা গোটাকতক মেঘ পাহাড়ের গা আঁকড়ে ধ'রে চুপচাপ রোদ পোয়াচ্চে-, তাদের এমনি বেজায় কুঁড়ে রকমের চেহারা যে শীঘ্ৰ তারা বৃষ্টি বর্ষণে লাগবে এমন মনেই হয় না।