পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

აზატ8 পথে-প্রবাসে 626 শ্ৰীঅন্নদাশঙ্কর রায় আসবাব ভাড়া ক’রে আনতে হয় কিম্বা কিনে এনে মাসে মাসে দান্ধুের ভগ্নাশ দিতে হয়। ‘আসবাব সম্বন্ধেও ইউট DD BBD Du DDD DS GBD BDBBBDS DBDBD BB নেই, বৈচিত্ৰ আছে, কিন্তু কলে-তৈরি প্রাণহীন বৈচিত্র । যন্ত্ররাজ বিভূতির কল্যাণে একালের রামস্যামও সেকালের রাজরাজড়াদের চেয়ে স্বচ্ছন্দে আছে। সস্তায় বাদশাহী চালে চলছে, কিন্তু রামের সঙ্গে শুষ্ঠামের এখন একতিলও তফাৎ নেই ; রামের নাম ৪৬ঙ তো শুষ্ঠামের নাম ৪৭ঙ, নামের তফাৎ নেই, সংখ্যার তফাৎ। “কলী।” যুগ বটে ! আমাদের বাড়ীর বি ফুরসৎ পেলেই খবরের কাগজ পড়ে, কোনো কোনো দিন খাবার সময় বা কোনো কোনো দিন পরিবেশন করার ফাঁকে। এই থেকে বুঝতে হয়। এদেশে খবরের কাগজের কেমন প্রচার ও প্ৰভাব । যে কাগজ আমাদের ঝি পড়ে সে কাগজে গুরুগম্ভীর লেখা থাকে না, তার সম্পাদকীয় প্ৰবন্ধ আধা কলামও নয়, সম্পাদক মহাশয় হালকা সুরে গ্রেহাউণ্ড রেসিং বা শরৎকালের ফ্যাসান সম্বন্ধে দু’চার কথা ব’লে আমাদের বি ঠাকরুণের সন্তোষবিধান করেন, উচুদরের রাজনৈতিক চাল বা অর্থনৈতিক সমস্যার ধার দিয়েও যান না, সংবাদের কলমে থাকে খেলাধূলা, ঘোড়দৌড়, চােরাডাকাত, বিবাহ ও বিবাহভঙ্গ ইত্যাদি চটকদার ও টাটকা খবর। আদালতে কে কেঁদোছে, এরোপ্লেনে কে হোসেছে, থিয়েটারে কে নেচেছে তাদের ফটো তো থাকেই, সময় সময় তাদের সঙ্গে “আমাদের নিজস্ব প্ৰতিনিধি”র সাক্ষাৎকারের লোমহর্ষণ বিবরণ থাকে । আমাদের দেশের কাগজের সঙ্গে এদেশের কাগজগুলোর মস্ত একটা তফাৎ এই যে এদেশের কাগজে গালাগালি থাকে না। ক্যাথেরিণ মেয়োর ওপরে রাগ হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু তাকে বেশ্য ব’লে গালাগাল দেওয়াটা ইতরতা । অমন ইত্যরতা এদেশের কাগজওয়ালারা এদের প্রধানতম শক্ৰদের বেলাও করে না। পাঞ্চ কাগজখানার পেশাই হচ্ছে ভাড়ামি, কিন্তু সে ভাড়ামির মধ্যে অশ্লীলতা থাকে না। এদেশে ক্যাথেরিণ মেয়োর যারা প্ৰশংসা গেয়েছে তারা স্পষ্ট ক’রে বলতে ভোলেনি যে, লেখিকা ইংরেজ নয়, আমেরিকান ; এবং অনেকে ইঙ্গিতে বুঝিয়েছে যে, ইংরেজ লেখক হ’লে কুরুচি-পরিচায়ক প্রসঙ্গগুলো অমন খোলাখুলিভাবে বীরদৰ্পে উল্লেখ করুত না। বাস্তবিক অশ্লীলতা সম্বন্ধে ইংরেজ জাতির একটা স্বাভাবিক ভীরুতা আছে, তাই এদেশের খবরের কাগজে “কেলেঙ্কারির বর্ণনাটাও নীচু গলায় হয়। মোটকথা, “respectable” ব’লে গণ্য হবার জন্যে এদেশের “ইতরে জানাঃ”র একটা ঝোক আছে, - তাই ডেলী হেরাল্ডকেও টাইমসের আদর্শ অনুসরণ করতে হয়। আমাদের বি-ঠাকুরুণের শ্রেণীর মেয়েরাও মনে মনে এক একটি লেডী । ইংলেণ্ডের গণতন্ত্রে অভিজাতদের ক্ষমতা কমেছে কিন্তু প্ৰভাব ছড়িয়ে পড়েছে, অর্থাৎ এদেশ কুলীনকে অন্ত্যজ না ক’রে অন্ত্যজকে কুলীন ক’রে তুলছে। এর পরের প্রসঙ্গ, চুল সাজাবার সেলুন। এই জিনিষটা আগে এদেশে পুরুষদের জন্য অভিপ্রেত ছিল, সুতরাং সংখ্যায় অৰ্দ্ধেক ছিল। এখন মেয়েরা ববী (bob) বা শিংল (Shingle) করে; অর্থাৎ হয় পুরুষের মতো ছোটাে ক'রে চুল ছাটে, নয় হরেক রকমের বাবরী রাখে। বব করা মেয়েদের দূর থেকে দেখলে ছেলে ব’লে ভ্ৰম হয়, কেবল ওদের স্কট বা ফ্রক দেখে বুঝতে হয় ওরা মেয়ে। শিংলা করা মেয়েদের মন্দ দেখায় না। শিংলা করাটা একটা আর্ট হয়ে দাড়িয়েচে, এ আর্টের আটষ্ট হচ্ছেন নরসুন্দর আর তুলি হচ্ছে তার কাচি। যার চুল যেমন ক’রে শিংলা কালে মানায় তার চুল তেমনি ক’রে শিংলা করাটা যথেষ্ট সৌন্দৰ্য্যবােধের পরিচায়ক। তবে ব্যাপারটা ব্যয় সাধ, মাসে মাসে নরসুন্দরকে খাজনা গুনতে হয়। শুনেছি চুল ছেটে নাকি মেয়েরা সোয়াস্তি পায়। সম্ভবতঃ পায়। কিন্তু এক্ষেত্রেও সেই ইউটিলিটীর প্রশ্ন। আগে ইউটিলিটী, তার পরে ওরি ও রে একটু সৌষ্ঠবের ব্যবস্থা, সেজন্যে নরসুন্দরের শরণাপন্ন হওয়া, নিজের রুচি পরের কাছে বন্ধক রাখা ও শতসংখ্যCrs try large-scalea সৌন্দৰ্য্য। manufacture-করা। ভবিষ্যতে নরসুন্দরের কুটিরশিল্পটা বিদুৎচালিত কারখানার শিল্পে পরিণত হবে না তো ? সুন্দরীরা দলে দলে কলের N5 Nței coitV5 slot-o ş’t:1ff Ft Eforia:Esf1fr চুল ছাটা টেড়ি কাটা টেষ্ট খেলানো শিং-বাকানো কানঢাকানো কলপ-মাখানো পাঁচ মিনিটে সমাপ্ত হবে না তো ?