পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YOes ) co pr ২৩১ শ্ৰীসৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় ট্যাপা জল লইয়া আসিল । শিবনাথের হাতে সে জল णि । शङ यूरेब्रा निवनाथ गिटिल बगिन्ना भूछि थारेष्ठ মুরু করিল। তৃতীয় পরিচ্ছেদ চাল বাঢ়ন্ত পরের দিন বিকালবেলা । রোয়াকে মাদুর বিছাইয়া কৰ্ত্ত সেই খাতায় কি লিখিতেছিলেন, আর শিবনাথ জঙ্গল কাটিতেছিল ; মাঝে মাঝে কৰ্ত্তার পানেও চাহিয়া দেখিতেছিল । কৰ্ত্তা খানিকক্ষণ লেখেন, আবার আকাশের দিকে তাকাইয়া থাকেন। কি লিখিতেছেন ? হিসাব ? এত ভাবিয়া কত বৎসরের পুরানো হিসাব লিখিতেছেন ? শিবনাথের বারবার কৌতুহল হইতেছিল, কর্তা কি লিখিতেছেন, জানিবার জন্য। কিন্তু মনকে সে পুনঃপুনঃ শাসাইয়া স্থির রাখিতেছিল, 'খবৰ্দার, সে ধাঙড়, তার এ কৌতুহল অত্যন্ত অনুচিত, বেমানান ! তাছাড়া ধরা পড়িবার আশঙ্কা তাহাতে বিলক্ষণ ! অবশ্য ধরা পড়িলে এমন কিছু ক্ষতি নাই। তবে এই বিচিত্র রোমান্স আর এক লাইন অগ্রসর হইবে না । একজন, দুইজন, তিনজন লোক আসিয়া টাকার তাগাদা করিল। পাওনাদার। কর্তা অত্যন্ত কুষ্ঠিতভাবে সকলকেই আশ্বাস দিয়া বলিলেন,•••এই শনিবারটা। তারপর রবিবার সকালে কাহাকেও শুধু হাতে ফিরাইবেন না! আশ্বাস পাইয়া তারা বিদায় লইল, কিন্তু মুখে অপ্ৰসন্নতার বোঝা লইয়া । শিবনাথ ভাবিল, কর্তা কি করেন । আপিস তো নাই। শনিবারে টাকা আসিবে, বলিলেন । বাড়ী ভাড়া ? কলিকাতার বাড়ী ভাড়া দিয়া এখানে বাস করিতে আসিয়াছেন, বুকি। কিন্তু বাই হোক, তার এত মাথাব্যথা কেন ? মাথাব্যখ্যার একটু কারণ ছিল। এই পরিবারটির প্রতি তার কেমন একটু মমতা জাগিয়াছিল। আর ঐ মেয়েটি। আহা, বড় শান্ত। বেটুকু তাকে সে দেখে, শুধু ফাই-ফরমাস খাটিতেছে। ভাও, নির্বিবাদে, প্ৰসন্ন চিত্তে। নিজের বেন। ‘‘نسیت &hنف&ٹنٹینینٹل কোনো অস্তিত্ব নাই ! এই ছোট্ট সংসারটুকুর মধ্যে সে যেন কেবলি শৃঙ্খলার সৃষ্টি করিয়া চলিয়াছে। যার যেখানে বাধিতেছে, সেইখানেই সে আসিয়া হাতখানি বাড়াইয়া বাধা जब्रादेवां गश्टडटछ ! उांछाफ़ा ौिiनाब्र बन थमन-कि नन যে, তার পানে কারো নজর পড়িবে। তবে তার চোখ দুটি । এমন চোখ যে একবার দেখিলে বারবার দেখিতে ইচ্ছা হয় । ঘনকৃষ্ণ পল্লব, তার নীচে ডাগর টানা চোখ...তাহাতে ঐ যে কেমন একটা উদাস, অসহায় ভাব ! কলেজে যখন সংস্কৃত কাব্য পড়িত, তখন একটা কথা সে পড়িয়াছিল, মৃগাক্ষি । মৃগের অক্ষি তেমন করিয়া দেখার সৌভাগ্য তার কখনো হইয়াছে বলিয়া মনে পড়ে না। তবে এ দুটি চোখ দেখিয়া কবেকার সেই কলেজে-পড়া মৃগাধিক কথাটা তার বার-বার মনে পড়িতেছিল। গৃহিণী আসিয়া কহিলেন-ওগো, চাল বে বাড়ন্তকাল সকালেই চাই! না হলে--- কৰ্ত্তা কলম ফেলিয়া গৃহিণীর পানে চাহিলেন ; কহিলেন-কিন্তু শনিবারের আগে-তাইতো, মুদি এইমাত্র এসেছিল টাকার জন্য। কিছু না পেলে দেৰে কি ? গৃহিণী দুশ্চিন্তায় অত্যন্ত কাতর হইয়া উঠিলেন। তিনি কহিলেন-উপায়...? কৰ্ত্ত কহিলেন-কারো বাড়ী থেকে চেয়ে-চিন্তে• • • গৃহিণী কহিলেন-ট্যাপাকে বলেছিলুম, তা ও আর পারে না । বলে, নিত্যিই তো এটা-সেটা...ওয়া ভারী লাজ করে । কৰ্ত্তা ও গৃহিণীর মুখে নিরূপায়তার এমন বেদন চুটিয়া উঠিল!-- তাদের কথাগুলো শিবনাথের কানো গেল। তার বুকখানা দরদে ফাটিয়া পড়িবার মত হইল! ওখানে বিলাস-ভূষণে সে জলের মত পয়সা ব্যয় করিতেছে, আর ঠিক তার বাড়ীর পাশেই এই বিপন্ন পরিবার...এমন বিপন্ন যে কালমুখে অন্ন দিবে কি করিয়া, তার কোনো সংস্থান নাই!--তাইতো, এখন এই বিপন্ন পরিবারটিকে এই দারুণ দুশ্চিন্তার হাত হইতে কি কলিয়া সে রক্ষা করিবে । সহসা বুদ্ধি জোগাইল । সে আসিয়া কহিল,-একটা কথা বলছিলুম, কর্তা •