পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ROR LLLLLYLSS LL BBBS LLLKLLLK বেলুড় ও কাশীয় মঠে আতিথ্য গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। সেসময় শ্ৰীীরামকৃষ্ণের প্রধান সাহচয় ও শিষ্যবৃন্দের সহিত আলাপ আলোচনার ফলে তিনি উক্ত মহাপুরুষের জীবন ও সাধনার নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। এতদ্ব্যতীত শ্ৰীীরামকৃষ্ণের জীবন কাহিনী-সম্বলিত নানা পুস্তক-পুস্তিকা, ও সাময়িক পত্র, তাহার সম্বন্ধে প্ৰচলিত কিম্বদন্তী পৰ্য্যন্ত তিনি তন্ন তন্ন করিয়া বিচার বিশ্লেষণ ও যথার্থ শিল্পীর অন্তৰ্দষ্ট দ্বারা শোধনান্তে অসামান্য শ্ৰদ্ধা ও সংযমের সহিত যে মনোজ্ঞ রচনা Sofuf TofascCR OCR sin The Face of Silence ইহাই ধনগোপালের আধুনিকতম গ্ৰন্থ। &ীরামকৃষ্ণের বাল্যজীবন হইতে সুরু করিয়া সাধনা, সিদ্ধি ও মহাপ্ৰস্থান পৰ্য্যন্ত সমস্ত কথাই এই গ্রন্থে বিবৃত হইয়াছে। তাহার সহিত কেশবচন্দ্ৰ সেন প্ৰভৃতি বিভিন্ন ধৰ্ম্মাবলী নানা জাতীয় পণ্ডিত, তত্বাৰেৰী, সমাজ-সংস্কারক প্রভৃতির সাক্ষাৎ ও তর্কযুদ্ধ; নরেন্দ্রনাথের (বিবেকানন্দ) মন্ত্ৰগ্ৰহণ, সাধনা ও সিদ্ধি ; বিবেকানন্দের ভারতবর্ষ, আমেরিকা ও য়ুরোপ ভ্ৰমণ ; শ্ৰীয়ামকৃষ্ণের প্রভাবে নাট্যকার গিরীশচন্দ্রের সুরার শাসন হইতে মুক্তিলাভ ও তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার প্রভৃতি নানা ব্যাপার সুমার্জিত সয়ল ভাষায় লেখক ব্যক্ত করিয়াছেন। রচনার অনাড়ম্বর ভজিমার সহিত আলোচ্য জীবনের ভারি একটি সঙ্গতি আছে। মনে হয় অঙ্গরূপে প্ৰকাশ করিলে এই শিশুর মত সরল বাঙালী সাধকের সত্য মুৰ্ভিটি ফুটিত না! তাহার প্রধান শিস্যবৃন্দের মধ্যে ব্ৰহ্মানন্দ, তুরীয়ানন্দ, বিবেকানন্দ, প্ৰেমানন্দ ও লাটু-মহারাজের অল্প-বিস্তর বিবরণ এই গ্রন্থে পাওয়া যায়। খ্রীরামকৃষ্ণের সহিত नंब्रिष्टाव्र श्रृं नम्बलनांध (विष्वकांनव) हिटशन-*A sort of agnostic bull in the China-hop of religion নরেন্দ্রনাথ কেশৰ-বাবুর সহিত সর্বপ্ৰথম শ্ৰীয়ামকৃষ্ণজার্মািন গিয়াছিলেন। বহু মানসিক বিষাদ্বন্ধ অতিক্রম কৰিয়া দ্বিতীয় ৰায় একাকী গেলেন। উীরামকৃষককে 16> [ थांवथ নিঃসঙ্গ বসিয়া থাকিতে দেখিয়া তিনি আশ্বাস্ত হইলেন। প্ৰথমবার একঘর লোকের সম্মুখে তিনি নরেন্দ্রনাথের উজ্জল ভবিষ্যৎ বর্ণনা করিয়া তাহাকে বড়ই লজা দিয়াছিলেন। শ্ৰীীরামকৃষ্ণ বলিলেন, ‘বড় খুলী হলুম, এসেছে। তোমার জন্যে অনেক বছর থেকে অপেক্ষা করছিলুমী’ ! Lr S SK D DLLDB BDS D তাহার মুখতাব কঠিন ও উদ্ধত হইয়া উঠিল। তক্তপোষের প্রান্ত ধেযিয়া তিনি বসিলেন। কিছুকাল কাহারো মুখ দিয়া একটি কথাও বাহির হইল না। পরস্পরের দিকে-ফিরানো মুখ দুইখানি কল্পনা করা যায়। শ্ৰীীরামকৃষ্ণকে প্ৰাচীন দেখাইতেছে, তাহার বয়সের চেয়ে বেশী। আর তাহার সম্মুখে উপবিষ্ট যুবকের মুখখানি ধাতুময় বৌদ্ধমূৰ্ত্তির মুখের মত প্ৰকাণ্ড ও শক্তিমান। একজন যৌবন ও লাবণ্যে ভূষিতা; অপরজন রিক্ত, সৰ্বাহারা, অদৃশু ভগবান ছাড়া তাহার কিছু নাই। বসিয়া বসিয়া দু’জনে পরস্পরকে লক্ষ্য করিতে লাগিলেন। সহসা নির্বকভাবে নিঃশব্দে শ্ৰীীরামকৃষ্ণ তা”র ডান পা”খানি তুলিলেন, ধীরে ধীরে সম্মুখে বাড়াইলেন, তাহার পর নরেন্দ্ৰনাথের দেহ সম্পর্শ করিলেন । “তৎক্ষণাৎ [ বিবেকানন্দের কথা ] আমার খোলা চোখের সুমুখে ঘরের দেয়ালগুলা টালিতে টলিতে পড়িয়া গেল। ঘরের আসবাব-পত্ৰ যেন কোন আক্ষরিক শক্তির প্রভাবে মেকের উপর আছড়াইয়া পড়িল, তাহার পর শূন্তে ডুবিয়া গেল। আমার চারিদিকে শূল, কেবল শূন্য। সহসা জগৎ যেন হা করিয়া আমার ‘আমিত্ব গ্ৰাস করিতে উদ্ভত হইল। ভাবিলাম, “আমিত্ব’ লোপ পাওয়া মানেই তা মৃত্যু। মনে হইল নৃত্যুকে যেন চুম্বইতে পারি, এতই নিকটে । এই ভয়ঙ্কর কথা মনে হইতেই আমি চীৎকার করিয়া উঠিলাম, ‘ওয়ন, গুছন, এ কি কয়ছেন ? আমি বঁছতে চাই। আমার মা-বাপ বেঁচে স্নয়েছেন, এরই মধ্যে আমার মান্নবেন না।” শুনিয়া উন্মাদ সশৰে হাসিয়া উঠিলেন, ধীরে ধীরে আমার বুকের উপর হাত ঘষিতে ঘষিতে বলিলেন, “আচ্ছা, এৰায় থাষা বাৰু।