পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৮৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sees बी •ठे শ্ৰী উমা দেৰী আন্তে হরিকম্যুলকে বসাইয়া বলিল,-“কোন ভয় নেই মেজদা, অরটা বেশী ব’লেই ওরকম করছেন, আমরা থাকতে ভয় কি ?” হরিকমল অধির হইয়া কহিলেন,-“না না, তুই আমায় ক্ষমা করি ভাই! তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে অতি নীচের মত আমি তোর মনে অনেক কষ্ট দিয়েছি,-তুই না ক্ষমা করলে ও ভাল হবে না ।” ) পরদিন প্ৰভাতে সমস্ত গ্রামখানিকে আন্দোলিত করিয়া গ্রামের গৌরব-রবি সৌম্যদর্শন নবকিশোর বাস্তু-ভিটায় সুবৃহৎ অঙ্গনে প্ৰবেশ করিতেই হরিকমল পাগলের মত তাহার পায়ের উপর পড়িয়া উচ্ছলিত ক্ৰন্দনে কহিল,- “আমাদের ঝগড়া মিটে গেছে দাদা, তুমি পায়ের ধূলো দাও যেন তোমার মেজ-বৌমাকে এ যাত্রাসারিয়ে তুলতে পারি।” নদী পটে শ্ৰীউমা দেবী অন্ধকার সন্ধ্যা, চারিদিক নিস্তািন্ধ কেবল বিবি ডাক্‌চে। খালের জলে কালো কালো নৌকোগুলো নিঃশব্দে ভেসে ছেলেগুলো মুড়ি দিয়ে ব’সে আছে। তাদেরি সঙ্গে আমার নৌকো ভেসে চলেছে খালের বুকে বুকে, মসজিদের গায়ে গায়ে, দেলুয়ার চড়ায় চড়ায়, তালগাছির হাটের পাশে পাশে, বাঘাবাড়ী ডাইনে রেখে, যমুনার মোহানার ওপর দিয়ে কত ছোট ছোট নদী পার হয়ে-বাড়ীর পানে । অন্ধকারে নদীর কালে জলের দিকে চেয়ে হঠাৎ মনে পড়লো, কবেকার হারানো সেই শৈশব সঙ্গীনীটিকে । अनि विच जयं९ जूख cशष्य-उांब्र कांग्ला बूथ नौब मड স্বচ্ছ জলভরা ছটি চোখ আমার সামনে ফুটে উঠলো। একটানা সংসার-বাজার ভেতরে, কত জানা-অজানা জনের মাঝে তাকে তো কখনো খুজে পাইনি। আজ সন্ধ্যার অন্ধকারে এই বিরাট নিস্তািন্ধতার মাঝে নদীর জলের কলকল শব্দে তার কািলহাসি শুনতে পাচ্ছি চলেছে- হুইএর ভেতর তেলের আলো জলছে, ছোট ছোট আর দেখছি ওই অধ্যারের ভেতর থেকে সে চেয়ে আছে তার ডাগর ছটি চোখ মেলে। বিশ্ব প্রকৃতি নির্বাক হোয়ে CUCoj VN . পুবের আকাশ কালে ক’রে প্রকাও মেঘ দেখা দিলেতারই ছায়া নদীর বুকে ঘনিয়ে উঠলে ; তখন মনে পড়লে তার এলোচুলের কথা, মনে পড়লো তার কালো ভুরু দুটির তলায় নিবিড় কাজা চোখ দুটি - 螺 অগাধ জলে ঢেউ এর মাথায় মাথায় নৌকো ভাসতে ভাসতে চলে। ঝোড়ো হাওয়ার একটানা শো শো শব্দের ভেতর কেবল তার একটি বাণী আমার কানো. জেগে রইলো-“ডোব, ডোব, এ যে আমার ভালবাসার অকুল সাগর, আমার চােখের জলে ভরা নদী-আবার ভেসে ওঠে। আমারি চোখের কালে শীথি তারার মাঝে।”