পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

78 সভ্যতা ত্ৰিয়মাণ হয়েছে, তখন সে বাদ-বাকী ইউরোপীয়দের ধবংসপথের যাত্রী করবার জন্য আগ্ৰহান্বিত হয়ে পড়ল । জৰ্ম্মণী কামানের গোলা দিয়ে যাপন ইউরোপকে মারতে পারলে না, তখন সে সাহিত্যিক poison-gas দিয়ে ইউরোপীয়দের মোহাচ্ছন্ন করবার চেষ্টা সুরু করলে। আর আমাদের, মন ও চরিত্র দুর্বল করবার তারা অব্যৰ্থ উপায় ঠাউরেছে, এসিয়ার ধৰ্ম্মমত ইউরোপীয় সাহিত্যে প্রচার করা। তারা সকলে আমাদের বোঝাচ্ছে যে, মুক্তির মানে নিৰ্বাণ, আর নির্বাণপ্ৰাপ্তিই ইউরোপীয়দের আদর্শ s ēī65 Spengler, Keyserling (2iyefs q যুগের জাৰ্ম্মাণ দার্শনিকেরা মাসির মতে, সব প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ। আর রুষ সাহিত্যেরও প্ৰধান কথা হচ্ছে যে, ইউরোপ এতদিন ধরে যে সভ্যতার সাধনা করে এসেছে, তার ষোল কড়াই কণা। ধৰ্ম্ম রীতিনীতি প্ৰভৃতিকে জলাজলি দিলেই মানুষ দেবতা হয়ে উঠবে, এই হচ্ছে রুষ সাহিত্যের বাণী । আর রাসিয়ানরা যে এসিয়াটক, তা সকলেই জানে। এ ছাড়া ফ্রান্সের বহুলোক আজি Lao-t-se ও বুদ্ধের छख्न छद्म छैècछ । • এখন এর উত্তরে Jaloux কি বলেন শোনা যাক। তিনি বলেন যে, মাসির রচনাচাতুৰ্য্য এতই অপূর্ব এবং তার চিন্তা এতই সুশৃঙ্খলিত যে, তার লেখা थथगरे भनक अख्छूिड क्रब्र। qवर उथन मान श्म যে, তার সকল কথাই তা সত্য। লেখক হিসেবে মাসির শক্তির মূলে আছে তার ধৰ্ম্মনীতি প্ৰভৃতি জিনিষে অটল বিশ্বাস। তঁর মনে কোনরূপ সন্দেহ নেই। যার মনে কোনরূপ বিধা নেই, সে ব্যক্তির অদম্য শক্তির পরিচয় কৰ্ম্মজগতেও যেমন পাওয়া যায়, মনোজগতেও তেমনি । কিন্তু আমাদের মন যখন নানা বিষয়ে সন্দেহ-দোলায় দোলায়মান, তখন মাসির কথার মোহ কেটে গেলেই virits ato tosi ei ed5 fssä viiris মনে যে সকল জিজ্ঞাসার সৃষ্টি করেছেন, একে একে সেগুলি প্ৰকাশ করছি । <69> [ खात्रांबा ইউরোপের বর্তমান মনোভাব দেখে মাসি যে ভয় পেয়েছেন, সে ভয় অকারণ নয়। বৰ্ত্তমান ইউরোপের লোকের প্রকৃতি যে মনুষ্যত্বহীন হয়ে পড়ছে, এ বিষয়ে আমরা সকলেই একমত। এমন কি ইউরোপের যে-দলের CF 713 5ēCIS Sața-Taaffe, politician-til-?fTS যুদ্ধের ধাক্কা পেয়ে তারাও চোখ মেলে দেখছে যে, যাকে তারা ইউরোপীয় সভ্যতা বলে, তার অন্তরে ঘুণ ধরেছে। কিন্তু আমাদের এই অধোগতির জন্য এসিয়া কি হিসেবে দায়ী, তা ঠিক বোঝা গেল না । এসিয়ার কথা মনে করতে মাসির মন কি জন্য আতঙ্কে ভরে ওঠে ? তিনি কি ভয় পান-এসিয়া আমাদের বাহুবলে পঙ্গু করবে, না মন্ত্রবলে নিৰ্জ্জীব করবে ? তার ভয়টা পলিটিকাল না। দার্শনিক ?-মাসি হয় ত উত্তরে বলবেন যে, মানুষের দার্শনিক মনোভাবের সঙ্গে পলিটিকাল মনোভাবের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ । দার্শনিক মনোভাবের সঙ্গে পলিটিকাল মনোভাবের যে একটা সুদূর ও অস্পষ্ট যোগাযোগ আছে, এ কথা স্বীকার করলেও আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, দার্শনিক মন ও পলিটিকাল মন সম্পূর্ণ বিভিন্ন। জ্ঞান ও কৰ্ম্মের অভেদ জ্ঞান আমার আজও হয় নি । সে যাই হোক, পলিটিকাল হিসাবে এসিয়া ইউরোপের স্কন্ধে ভর করবে। কি না, সে বিষয়ে কোনরূপ মত দিতে আমি সম্পূৰ্ণ অপারগ। কারণ এত অসংখ্য ও অজ্ঞাত ঘটনার সমবায়ের উপর এই দুই ভূভাগের পলিটিকাল ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে যে, ভবিষ্যতে ইউরোপ যে এসিয়ার দাস হবে, এ ঘটনা ঘটা যেমন সম্ভব, তেমনি অসম্ভব । আর যদিই বা তাই হয়, তাহলেই যে সৃষ্টির ধবংস হবে, তা ত মনে হয় না । ও সব ভাবনা ভাবতে গেলে মানুষের দার্শনিক মন ঘুলিয়ে যায়। সুতরাং ইউরোপের পলিটিকাল সমস্তার মীমাংসা পলিটাসিয়ানরা করুন ; আমরা মাসি মহোদয় যে দার্শনিক বিপদের কথা বলেছেন তারই বিচার করব। জাৰ্ম্মণী ও রূষিয়ার এসিয়াটিক্‌ মনোভাবের কথা ছেড়ে দেওয়া যাক। মাসি হিন্দুধৰ্ম্ম ও হিন্দুদর্শনের যে পরিচয়