পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চতুর্থ অধ্যায়।

বিবাহ,শ্বশুরের পরিচয়, অলঙ্কারে প্রতিষ্ঠা,

দয়া, সখ, ও শ্রম।


 ঈশ্বরচন্দ্রের ভূয়সী খ্যাতি-প্রতিপত্তি হওয়ায়, নিকটবর্তী গ্রামবাসীদের মধ্যে অনেকে তাঁঁহাকে কন্যা সমর্পণ করিবার জন্য লালায়িত হন। ক্ষীরপাইনিবাসী শক্রয় ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের সপ্তমবর্ষীয় কন্যা দিনময়ীর সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। এ বয়সে তাঁহার বিবাহ করিবার আদৌ ইচ্ছা ছিল না; কিন্তু পিতার অনুরোধে তিনি বিবাহ করিতে বাধ্য হন। দিনময়ী পাদুকা-কন্যা। পাদুকা-কন্যার সৌভাগ্য-ফলে স্বামীর লক্ষ্মী অচলা হয়। দিনময়ীর পতির অদৃষ্টে তাহাই হইয়াছিল। ভাগ্যবতী দিনময়ী পুত্রকন্যা রাখিয়া স্বামীর পুর্ব্বে ইহলোক পরিত্যাগ করিয়া নিজ সৌভাগ্যশালিতার এবং শুভগ্রহসম্পন্নতার পরিচয় দিয়া গিয়াছেন। তিনি মৃত্যুর পূর্ব্বে বহুবর্ষব্যাপক কৃচ্ছসাধ্য সাবিত্রী ব্রতের উদযাপন করিয়াছিলেন। সকল নারীর ভাগ্যে সধবা অবস্থায় এই “কঠোর ব্রতের উদযাপন করা ঘটিয়া উঠে না। অনেককেই অনুদযাপিত অবস্থায় তনু ত্যাগ করিতে হয়। দিনময়ী প্রকৃত সাধবীর মত সকল দিক বজায় করিয়া, পতিপুত্র রাখিয়া দিব্যধামে প্রয়াণ করেন।