পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।




সপ্তম অধ্যায়।

কার্য্যাভাস, চাকুরিতে প্রবেশ, সাহেবের গুণগ্রাহিতা,
ফোর্ট উইলিয়ম্‌ কলেজ, ইংরেজি শিক্ষা, অক্ষয়-
কুমার দত্তের সহিত পরিচয়, মহাভারত-
অনুবাদ ও অধ্যাপনা প্রণালী।

 পাঠ্যাবস্থার অবসানে কার্য্য-কালের প্রারম্ভ। এইবার কার্যাবীর বিদ্যাসাগর কার্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। কার্য্যময় সংসারে কার্য্যের কীর্ত্তি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বহু প্রকারের। পাঠক! বাল্যকালে ও পাঠ্যবস্থায় যে অপরিসীম শ্রমশীলতা, যে প্রগাঢ় একাগ্রতা, যে অবিচলিত আত্মনির্ভরতা এবং প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও বহ্নিবর্ষিণী তেজুস্বিতা দেখিয়াছেন, কার্য্যক্ষেত্রেও তাহার প্রচুর প্রমাণ ও পরিচয় পাইবেন।

 বিপদে নির্ভীকতা, কর্ত্তব্যপালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞতা, নৈরাশ্যে সজীবতা এবং সর্ব্বাবস্থায় নিরভিমানিতা ও সর্ব্বকার্য্যে নিঃস্বার্থতা দেখিতে চাহেন তো পাঠক দেখিবেন, বিদ্যাসাগরের জীবনে, কার্য্যাবস্থার প্রারম্ভ হইতে দেহাবসানের পুর্বাবস্থা পর্য্যন্ত। করুণার কথা আর কি বলিব? বলিয়াছি তো, তাহার তুলনা নাই। এ বহু-বর্ণময় ভারতভূমিতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সকল কার্য্য সর্ব্বসম্মত হওয়া সম্ভব নহে এবং হয়ও নাই; কিন্তু সকল কার্য্যে যে সেই শ্রমশীলতা, সেই দৃঢ়তা, সেই নির্ভীকতা, সেই বুদ্ধিমত্তা এবং সেই বিদ্যাবত্তা, সকল সময়েই পূর্ণমাত্রায় পরিচালিত হইত, তাহা তাঁহার জীবনী-পর্য্যালোচনায় নিঃসন্দেহে প্রতিপন্ন