পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অক্ষয়কুমারের বৃত্তি।
১২৯

পাইনের প্রস্তাবে ও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সমর্থনে, সম্পাদকের বৃত্তি দিবার প্রস্তাব হয়। সেই সময় দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাহাতে এই বলিয়া প্রতিবাদী হন, কেবল তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় আয়ে যদি বৃত্তি দেওয়া হয়, তবে তাহা হইতে পারে, তত্ত্ববোধিনী সভার আয় ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার আয় একত্র মিলিত করিয়া তাহা হইতে দেওয়া অবিধি। সাধারণ সভ্যের মতানুসারে কিন্তু উহার বিপরীত ব্যবস্থা ধার্য্য হয়।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা হইতে অক্ষয়কুমারকে মাসিক পঁচিশ ২৫ টাকা বৃত্তি দেওয়াইবার প্রধান উদ্‌যোগী।

 “অক্ষয় বাবুর অসাধ্য রোগ তত্ত্ববোধিনী সভার ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার একটী বিপত্তির বিষয়, ইহা বল বাহুল্য। ঐ সভার সভ্যেরা তন্নিমিত্ত অতিমাত্র দুঃখিত ও উদ্বিগ্ন হইয়াছিলেন, ইহাও বলা অতিরিক্ত। তাঁহারা ইহার প্রতি কৃতজ্ঞ হইয় মাসিক বৃত্তি নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দেন। দেশমান্য পণ্ডিতবর শ্রীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় এ বিষয়ের জন্য বিশেষ উদযোগ পাইয়াছিলেন। তাঁহা কর্তৃক বিরচিত সে বিষয়ের বৃত্তান্ত ১৭৭৯ সতরশ উনআশী শকের (১২৬৪ সালের) কার্ত্তিক মাসের তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নিয়ে তাহা উদ্ধৃত হইতেছে,—

 “তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রচারিত হওয়াতে, এতদ্দেশীয় লোকদিগের যে নানা গুরুতর উপকার লাভ হইয়াছে, ইহা বোধবিশিষ্ট ব্যক্তিমাত্রেই স্বীকার করিয়া থাকেন। আদ্যোপান্ত অনুধাবন করিয়া দেখিলে, শ্রীযুক্ত বাবুঅক্ষয়কুমার দত্ত, এই তত্ববোধিনী পত্রিকা-সৃষ্টির প্রধান উদযোগী এবং এই পরোপকারিণী পত্রিকার অসাধারণ শ্রীবৃদ্ধিলাভের অদ্বিতীয় কারণ বলিয়া বোধ হইবে।”

১৭