পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অষ্টম অধ্যায়।



প্রতিষ্ঠা-প্রতিপত্তি, বাঙ্গালা চিঠি, শিক্ষা-বিভাগের পরিবর্তন,

পিতার কার্য্য-ত্যাগ, বাসার অবস্থা, সহৃদয়তার পরিচয়,

প্রতিশ্রুতি-পালন, চলচ্ছক্তির প্রমাণ, বীরসিংহে

কৌতুক, দুর্ব্বলে দয়া, মাতৃ-ভক্তি, সংস্কৃত-

রচনা, তেজস্বিতা, পদ-পরিবর্ত্তন

ও গুণগ্রাহিত।

 ফোর্ট উইলিয়ম্ কলেজে চাকুরি করিবার পূর্ব্বে পাঠ্যবস্থাতেও বিদ্যাসাগর মহাশয়, নিজ-গুণগ্রামে শিক্ষাবিভাগের কর্তৃপক্ষের প্রীতিপাত্র হইয়াছিলেন। তখনও তাঁহার অনেকটা প্রতিষ্ঠা-প্রতিপত্তি হইয়াছিল। তাই, তিনি দর্শন-পাঠকালে অধ্যাপক পণ্ডিত নিমচাঁদ শিরোমণি মহাশয়ের মৃত্যু হওয়ায়, চেষ্টা করিয়া পণ্ডিত জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চাননকে তৎপদে অধিষ্ঠিত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। ফোর্ট উইলিয়ম্ কলেজে তাঁহার প্রতিপত্তি অধিকতর পরিবর্দ্ধিত হইয়াছিল। মার্সেল সাহেব তাঁহাকে বড় শ্রদ্ধা ও ভক্তি করিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় কোন বিষয়ের জন্য অনুরোধ করিলে তিনি তৎসাধনে কৃতকার্য্য না হইয়া ক্ষান্ত হইতেন না।

 এই সময় সংস্কৃত কলেজের দুই জন ব্যাকরণাধ্যাপকের পদ শূন্য হয়। তখন বাবু রসময় দত্ত কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

১৮