পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
বিদ্যাসাগর।

পণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ ঐ পদের প্রার্থী হইয়াছিলেন।[১] ইনি তখন কলেজের পাঠ সমাপ্ত করিয়াছিলেন। ঐ পদের জন্য কিন্তু একটা পরীক্ষা দিবার ব্যবস্থা হইয়াছিল। বিদ্যাভূষণ মহাশয় পরীক্ষা দিয়া প্রথম হইয়াছিলেন। কি কারণে বলা যায় না, রসময় দত্ত ইঁহাকে সেই পদটী না দিয়া তাড়াতাড়ি পুস্তকালয়ের অধ্যক্ষপদে নিয়োজিত করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, এ কথা মার্সেল্ সাহেবকে অবগত করান। মার্সেল্ সাহেব তদানীন্তন “এডুকেশন্ কৌন্সিলের” সেক্রেটরী ডাক্তার মৌয়েটকে ঐ কথা বলেন। মৌয়েট্ সাহেব রসময় বাবুর বন্দোবস্ত বিপর্য্যস্ত করিয়া দিয়া বিদ্যাভূষণ মহাশয়কে ঐ পদে নিযুক্ত করেন।[২]

 পণ্ডিতবর ৺রামগতি ন্যায়রত্ন মহাশয়, স্বীয় বাঙ্গালা ভাষার “সাহিত্য-বিষয়ক প্রস্তাব” নামক পুস্তকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতিপত্তি-সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন,—

 “মার্সেল্ সাহেব বিদ্যাসাগরের সহিত যত ঘনিষ্ঠ হইতে আরম্ভ করিলেন, ততই তাঁহার বিদ্যা, বুদ্ধি, চরিত্র, তেজস্বিতা, উদারতা প্রভৃতি সন্দর্শনে যৎপরোনাস্তি প্রীত হইতে লাগিলেন। তদবধি সকল বিষয়েই বিদ্যাসাগরের কথায় সম্পূর্ণ বিশ্বাস করিতেন এবং তদীয় মত গ্রহণ ব্যতিরেকে প্রায় কোন কর্ম্ম করতেন না। ঐ

  1. ১৭৪২ শকে বা ১৮২০ খৃষ্টাব্দে ইনি ২৪ পরগণার অন্তর্গত চাঙড়িপোতা গ্রামে জন্ম গহণ করেন। ইনি ১২ বৎসর সংস্কৃত কলেজে পড়িয়াছিলেন। উত্তর কালে ইনি সোমপ্রকাশের সম্পাদক হন। ইঁহার সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সবিশেষ সৌহার্দ্য ছিল।
  2. নববার্ষিকী, দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় কর্ত্তৃক সংগৃহীত, ২২৮ পৃষ্ঠ