পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছাত্র-প্রীতি।
২৩৭

তিনি ত কথন উপজীব্য-পদের “লেফাফা-দোরস্ত” কার্য্য করিয়া, দিনের অবশিষ্ট কাল, স্বভাব-বিলাসী বাঙ্গালীর ন্যায় বিলাস-বাসনে অতিবাহিত করিতেন না। বিদ্যাসাগর স্বভাবতঃ কর্ম্মবীর। তাঁহার বিরাম-বিরতি কবে? কলেজের কার্য্য ব্যতীত ক্ষুদ্র দেহে তিনি দেশের ও সমাজের জন্য, কি অমানুষিক শক্তিবলে অলৌকিক কার্য্য সম্পন্ন করিতেন, পাঠক! একে একে তাহার পরিচয়-পাইবেন। এই “প্রিন্সিপাল” কার্যের সময়ে বিদ্যাসাগরের নাম-যশ: দিগন্তব্যাপী হইয়াছিল। এই “প্রিন্সিপালে”র কার্য্যেও তাঁহাকে যেরূপ অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হইয়াছিল, তাহা প্রকৃতই বিস্ময়াবহ। তিনি শিক্ষা-প্রণালী সম্বন্ধে যে রিপোর্ট দিয়াছিলেন, কর্তৃপক্ষ তাহাতে সস্তুষ্ট হইয়া তাঁহাকে তদনুসারে কার্য্য করিতে অনুমতি দিয়াছিলেন; সুতরাং সংস্কৃত কলেজের পাঠ্যসম্বন্ধে তিনি ষে সংকল্প করিয়াছিলেন, এক্ষণে তাহা কার্য্যে পরিণত করাই তাঁহার অতি কর্ত্তব্য হইয়া উঠিয়াছিল। এই সময়ে তিনি পাঠ্য পুস্তক প্রণয়নে তন্ময় হইয়া পড়িয়াছিলেন। ইহার সঙ্গে সঙ্গে, ফলে যাহাই হউক, কলেজের আভ্যন্তরীণ সংস্কারসাধনে তাঁহাকে সবিশেষ মনোযোগী হইতে হইয়াছিল।

 ছাত্রদিগের প্রতি সদ্ব্যবহার আভ্যন্তরীণ সংস্কারের মূলাধার বলিয়াই তাঁহার ধারণা ছিল। ছাত্রদিগের প্রতি সদ্ব্যবহার করিলে, কলেজের নির্ণীত নিয়মে ও প্রচলিত পাঠ্যে বালকদিগের মনোভিনিবেশ হইবে, ইহা তিনি বুঝিতেন। এই জন্য তিনি কলেজের ছাত্রদিগের প্রতি পুত্রবৎ ব্যবহার করিতেন।

 এই লেখকের সাহিত্য-গুরু, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অন্যতম শিষ্য এবং ভূতপূর্ব্ব দৈনিক-সম্পাদক পণ্ডিতবর “শ্রীযুক্ত ক্ষেত্র