পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪২
বিদ্যাসাগর।

জন বন্ধু তৎসম্বণ্ধে বলিতেন,—“He was the most cheerful of all my friends,” বিদ্যাসাগর মহাশয় সম্বন্ধে তদীয় বন্ধু আনন্দকৃষ্ণ বাবু ঠিক্ এই কথাই বলেন। আনন্দ বাবু বলেন,— “বিদ্যাসাগর আমাদের বাড়িতে আসিলে, ৭।৮ ঘণ্টার কমে বাড়ি ফিরিতে পারিতেন না। আমরা তাঁহাকে ঘেরিয়া বসিয়া তাঁহার মুখে রহস্য-রসালাপময় গল্প শুনিতাম। কখন হাসিতাম, কখন কাঁদিতাম, কখন ছবির মত তাঁহার মুখের দিকে তাকাইয়া থাকিতাম কখন তাঁহাকে আহলাদে আলিঙ্গন করিতাম। তিনি উপমার অক্ষয় ভাণ্ডার। নিত্য নূতন গল্প, নিত্য নূতন উপমা। গল্পে আমোদ করিতে এমন আর কেহ পারিতেন না।” মধ্যে মধ্যে পাঠক, বিদ্যাসাগরের এই রহস্য পটুতার পরিচয় পাইবেন।

 রহস্য-রঙ্গে বিদ্যাসাগর মহাশষ কাজ ভুলিতেন না। তিনি পূর্ব্বোক্ত অধ্যাপক মহাশয়ের সহিত রহস্য-রঙ্গ করিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন না। অধ্যাপক মহাশয় এই রহস্যে অবশ্য সাবধান হইয়াছিলেন; কিন্তু অন্যান্য সকলকে সাবধান করিবার জন্য, তিনি শারীরিক দণ্ডবিধান নিষেধ করিয়া এক স্যরকুলার জারি করিয়াছিলেন।

 প্রিন্সিপাল-পদে প্রতিষ্ঠিত হইবার ৫।৬ মাস পরে বিদ্যাসাগর মহাশয় পীড়ায় আক্রান্ত হন। ঈশ্বরেচ্ছায় তিনি শীঘ্র আরোগ্যলাভ করেন। এই সময় তাঁহার শির পীড়া সূত্র হয়, তবে তিনি বিলক্ষণ বলিষ্ঠ ছিলেন ৰলিয়া, শিরঃপীড়ায় তাঁহাকে বড় কাতর করিতে পারিত না। দেহে তখন বল এবং শরীরে রক্ত যথেষ্ট ছিল। সকাল-সন্ধ্যা তিনি “মুগুর” ভাঁজিতেন; “ডন্” ফেলিতেন; এমন কি রীতিমত ব্যায়াম করিতেন। ইহাতে তাঁহার দেহে