পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬৮
বিদ্যাসাগর।

হইয়াছিলেন। সে কার্য্যে সুবিধা না হওয়ায়, তিনি কর্তৃপক্ষের জজ্ঞাতসারে পদ ত্যাগ করেন। এই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় তাঁহাকে আপনার বাসায় আনেন এবং পরে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিয়া হিন্দু স্কুলে তাঁহার একটি চাকুরী করিয়া দেন। এই প্রসন্ন বাবু পরে সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল এবং অবশেষে প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক হইয়াছিলেন। উভয়ের মধ্যে প্রগাঢ় আত্মীয়তা ও ঘনিষ্ঠতা সংঘটিত ইষ্টয়াছিল। প্রসন্নকুমার বাবু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত বীরসিংহগ্রামে গিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় অধিক বয়সেও প্রসন্ন বাবুর নিকট ইংরেজী পড়িতেন।

 কি আত্মীয়-পরিজন, কি ভ্রাতা-ভগিনী, কি বন্ধু-বান্ধব সকলের প্রতি বিদ্যাসাগর মহাশয় সমান প্রীতিমান্ ছিলেন। কলিকাতা মিউনিসিপালিটীর ভূতপূর্ব্ব ভাইসচেয়ারম্যান শ্যামাচরণ বিশ্বাস বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরম বন্ধু ছিলেন। ইঁহার বাড়ী সংস্কৃত কলেজের সম্মুখে। ইঁহার পৈতৃক বাসস্থান, হুগলী জেলার অন্তর্গত পাঁইতেল গ্রামে। উহা কালকাতা হইতে আট নয় ক্রোশ দূরে অবস্থিত। বিদ্যাসাগর মহাশয় শ্যামাচরণ বাবুর অনুরোধে একবার জগদ্ধাৰী পূজার সময় পাঁইতেল গ্রামে গিয়াছিলেন। লেখকের পিতৃ-মাতুলালয় এই পাঁইতেল গ্রামে। পূজনীর স্বৰ্গীয় পিতৃবের মুখে শুনিয়াছিলাম বিদ্যাসাগর মহাশয় পাঁইতেলে গিয়া তত্রত্য অনেক দীন দরিদ্রকে দান করিয়াছিলেন। পাঁইতেল ও তন্নিকটবর্ত্তী গ্রামবাসীরা বিদ্যাসাগর মহাশয়কে দেখিযার জন্য দলে দলে বিশ্বাস মহাশয়ের বাড়ীতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিল। পাঁইতেল হইতে ফিরিয়া আসিয়া তিনি রোগে আক্রান্ত হন। জ্বরের