পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিধবা-বিবাহ।
২৮৩

শয়ের নিকট তিনি কোনরূপ সাহায্য পাইবেন না। তাহাতেও ব্রাহ্মণ বিচলিত হন নাই। তিনি কাহারও মুখাপেক্ষী না হইয়া, অটুট বিক্রমে, অটল সাহসে, আপন কর্ত্তব্য-সাধনে আত্মসমর্পণ করেন। সমাজে বিধবা-বিবাহের প্রচলন করাই তাঁহার অটল প্রতিজ্ঞা। সে বিরাট পুরুষের যে প্রতিজ্ঞা কে ভঙ্গ করিতে পারে? ব্যুহ-বেষ্টিত অভিমন্যুর ন্যায় বিদ্যাসাগর সংসার-সংগ্রামে বিপক্ষ-বেষ্টিত হইয়া, অসমসাহসে অকুতোভয়ে শত্রুপক্ষের সহিত সমরে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। সে ক্ষণজন্মা মহাপুরুষের তাৎকালিক ভীষণ সংগ্রামমূর্ত্তি অবলোকন করিয়া আমরা বাস্তবিকই বিস্ময়াভিভূত হইয়াছিলাম। দুঃখের বিষয়, ইহার পর বিদ্যাসাগর আমাদের বাটীতে বড় আসিতেন না। মাতামহ মহাশয় তাঁহার জীবনব্রতের সহায় না হইলেও তাঁহাকে অন্তরের সহিত শ্রদ্ধাভক্তি করিতেন।”

 বিধবা-বিবাহ-সংক্রান্ত প্রখম পুস্তিকা প্রকাশিত হইবার পর চারিদিকেই নানা পণ্ডিত-সমাজ হইতে ইহার প্রতিবাদ-পুস্তক প্রকাশিত হইয়াছিল। মুরশিদাবাদের বৈদ্য-প্রধান গঙ্গাধর কবিরাজ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়াছিলেন। সে সময়ে যে সকল প্রতিবাদ-পুস্তক প্রকাশিত হইয়াছিল, তার সকল সংগ্রহ করিতে পারি নাই; যে কয়খানি সংগ্রহ করিয়াছি, তাহাদের নাম এইখানে প্রকাশ করিলাম—

 “বিধবা-বিবাহের নিষেধক বিচারঃ। শ্রীউমাকান্ত-তর্কালঙ্কারসংশোধিতঃ। আঁটপুরনিবাসি দর্শনশাস্ত্রাধ্যাপক-শ্রীশ্যামাপদন্যায়ভূষণপ্রণীতঃ পুনঃ প্রকাশিতশ্চ।” “বিধবা বিবাহ-নিযেধকপ্রমণাবলী। দ্বিতীয়া।” কাশীপুরবাসী-শ্রীশশিজীবনতর্করত্ন-