পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর।
৩৩২

হইয়ছে, তাহাই পর্য্যাপ্ত জ্ঞান করিতে হইবে। যখন তুমি রাজপুরুষদের সাহায্যে এই বিধি প্রচলিত করাইতে সমর্থ হইয়াছ, তখন পুর্ব্বকথিত দেশ বিভাগের সমাজপতিদিগের সহায়তা লাভে যে কৃতকার্য্য হইবে, তদ্বিষয়ে সন্দেহ জন্মিতেছে না। ইহাতে ধেমন কালবিলম্ব ঘটবে, তেমন সময়ে স্রোতঃ তোমারই মতানু কুলে বহিবে। লোকবলের নিকটে অর্থাভাব অনুভূত হইবে না। ত্বরায় প্রয়োজন দেখি না। হিন্দু সমাজ এ পর্য্যন্ত অনেক সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইয়াছে। দুই চারিট বিধবা-বিবাহ দিলে আর একটী থাক ঝাড়ান মাত্র হইবে; সমাজ-বন্ধন এইরূপে আরও শিথিল করিবার প্রয়োজন নাই। ঈশ্বর, যাহা বক্তব্য, বলিলাম। তুমি বড় ব্যস্ত দেখিতেছি। চলিলাম, বিবেচনা করিও।” প্রেমচাঁদ তর্কবাগীশের জীবন চরিত, ৬১-৬২ পৃষ্ঠা।

 ইহা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অটল দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও ঐকান্তিক একাগ্রতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। হায়! হিন্দুর করণীয় কার্য্যে এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞতা-এই একাগ্রত পরিচালিত হইলে,আজি হিন্দু সমাজ ষে অধঃপতনের মুখে অগ্রসর হইতেছে, তাহার অনেকটা গতিরোধ হইত।