পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অষ্টাদশ অধ্যায়।

বর্ণপরিচয়, চরিতাবলী, বিশ্ব-বিদ্যালয়, হেলিডের নিকট

প্রতিষ্ঠা, ইয়ং সাহেবের সহিত মতান্তর

ও পদত্যাগ।

 বহু কঠোরতর কার্যে ব্যাপৃত থাকিয়াও বিদ্যাসাগর মহাশয় পাঠ্য-পুস্তক প্রণয়নে নিবৃত্ত ছিলেন না। ১২৬২ সালের ১লা বৈশাখ বা ১৮৫৫ সালের ১৩ই এপেল এবং ১২৬২ সালের (১৯১২ সংবতে) ১লা আষাঢ় বা ১৮৫৫ সালের ১৪ই জুন বর্ণপরিচয়ের প্রথম ভাগ এবং দ্বিতীয় ভাগ মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। বর্ণপরিচয়েও বিদ্যাসাগরের উদ্ভাবনা-শক্তির পরিচয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় বর্ণপরিচয়ের প্রথমভাগে বাঙ্গালা বর্ণবিচারে প্রবৃত্ত হন। এ বিচারে তিনি প্রথম। এ সম্বন্ধে আমাদের মতবিরোধ আছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলি, তিনি বাঙ্গালার স্বরবর্ণের দীর্ঘ “ঋ”র ব্যবহার করেন নাই। সংস্কৃত প্রয়োগানুসারে বাঙ্গালার দীর্ঘ “ঋ”র ব্যবহার হতে পারে। যথা——“পিতৄণ”। এ বর্ণবিচারসম্বন্ধে ঢাকার বান্ধব-সম্পাদক বহুযশস্বী স্বর্গীয় কালি প্রসন্ন ঘোষ মহাশয় ও ভট্টপল্লিনিবাসী পণ্ডিতপ্রবর যুক্ত পঞ্চানন তর্করত্ন মহাশয় ও শ্রীযুক্ত মহেন্দ্রনাথ বিদ্যানিধি মহাশয় যে আলোচনা করিয়াছিলেন, তাহা পাঠ করা কর্ত্তব্য।

 প্রেসিডেন্সি কলেজের ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক এবং বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অভিন্নহৃদয় সুহৃদ্ প্যারীচরণ সরকারের চোরবাগানস্থিত বাটীতে একদিন নির্দ্ধারিত হয় যে, প্যারীবাবু ইংজৌশিক্ষার প্রাথমিক পাঠাসমূহ এবং বিদ্যাসাগর