আলাপ পরিচয় হইত, তিনি তাঁহার হৃদয়ে অঙ্কিত হইয়া থাকিতেন।
সেই সময়ে, ঐ কান্দী গ্রামে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পূর্ব্ব-আশ্রয়দাতা ৺জগদ্দুর্ল্লভ সিংহের কন্যা ক্ষেত্রমণি দাসীর সহিত সাক্ষাৎ হয়। ক্ষেত্রমণি রাজপরিবারের রাজ-বাটীর ভাগিনেয়বধূ। রাজবাটীর ভাগিনেয় লালমোহন ঘোষ তাঁহার স্বামী। বিদ্যাসাগর মহাশয় বাটী গিয়াছেন শুনিয়া, ক্ষেত্রমণি তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করেন। নানা কারণে ক্ষেত্রমণির অবস্থা বড়ই হীন হইয়াছিল। বহু দিনের পর সেই দীন হীন ক্ষেত্রমণিকে দেখিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় চক্ষের জলে ভাসিয়া গিয়াছিলেন। তিনি ক্ষেত্রমণির প্রার্থনায় মাসিক ১০্ দশ টাকা বৃত্তি বরাদ্দ করিয়া দেন।
বিদ্যাসাগর মহাশয় গুণী ও গুণগ্রাহী। জগতে সকল গুণীরই গুণনির্ণয়ে শক্তি থাকে না। সেই শক্তি অন্তর্ভেদিনী সূক্ষ্ম দৃষ্টির অন্তর্ভুতা। বিদ্যাসাগরের সেই শক্তি অতুলনীয়। চাকুরীর সময়ে তাহার বহু পরিচয় পাইয়াছি। স্বাধীন অবস্থায় হিন্দুপেট্রিয়টের সম্পাদক নিয়োগেও তিনি সে শক্তির প্রকৃষ্ট পরিচয় দিয়াছিলেন। ১২৬৮ সালের ১লা আষাঢ় (১৮৬১ খৃষ্টাব্দের ১৪ই জুন) শুক্রবার বেলা ৯ নয়টার সময় হিন্দুপেট্রিয়টের স্বত্বাধিকারী ও সম্পাদক সুলেখক হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়। ঐ বৎসরে ১২৬৮ সালের ১১ই শ্রাবণ (১৮৬১ খৃষ্টাব্দের ২৫শে জুলাই) পেট্রিয়ট কার্য্যালয় ভবানীপুর হইতে কলিকাতায় উঠিয়া আইসে। বাবু কালী প্রসন্ন সিংহ ৫০০০্ পাঁচ হাজার টাকা দিয়া হিন্দুপেট্রিয়টের স্বত্ব ক্রয় করিয়া ইহা পরিচালিত