পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মাইকেল মধুসূদন।
৩৮১

অন্ধ করে। জগতের ইতিহাসে—প্রেমের সংসারে এমন সহস্র দৃষ্টান্ত পাইবে।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় মাইকেলের প্রতিভায় এতাদৃশ বিমোহিত ছিলেন যে, অনেক সময়ে মাইকেল কথার অবাধ্য হইলেও তিনি তাহাতে রাগ করিতেন না। জামাতৃপুত্রেরও অশিষ্টতা, অবাধ্যতা, কর্তব্যবিমুখতা এবং দুষ্কৃতিপোষকতা বিদ্যাসাগরের অসহ্য হইত, এমন কি তাঁহাদের মুখাবলোকনেও তাঁহার প্রবৃত্তি হইত না। সেই বিদ্যাসাগর মাইকেলের শত অপরাধ বুক পাতিয়া লইতেন। প্রতিভাপূজার প্রকৃত পরিচয় ইহা অপেক্ষা আর কি হইতে পারে? মাইকেলের সাহায্যার্থ বিদ্যাসাগরকে আরও চারি সহস্র টাকা ব্যয় করিতে হইয়াছিল। মাইকেল এক কপর্দ্দকও ঋণ পরিশোধ করিতে পারেন নাই।

 এতদ্ব্যতীত মাইকেলের আরও অনেক টাকার ঋণ ছিল। নিম্নলিখিত পত্রে ও তালিকায় তাহার প্রমাণ,—

ঈশ্বরঃ

শরণম্।

 পিতঃ!

 পঞ্চকোটের মহারাজার নির্ব্বন্ধাতিশয়ে বাধ্য হইয়া অদ্য রাত্রিতেই আমাকে পুরুলিয়ায় যাত্রা করিতে হইল। সুতরাং মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিতে অক্ষম হইলাম। ভরসা করি, আগামী সোমবার তারিখে পুনরায় শ্রীচরণ সন্নিধানে উপস্থিত হইতে পারিব।

 দত্তজ মহাশয়ের ঋণদাতৃগণের ‘তালিকা’ এই সঙ্গে পাঠাইলাম। মহাশয়ের শ্রীচরণকমলে বিনীতভাবে আমি এই প্রার্থনা